হোয়াইটওয়াশ এড়িয়েছে টাইগাররা

বাংলাদেশের জন্য এটা ছিল মান বাঁচানোর লড়াই। অবশেষে মান রক্ষা করেছে তামিম ইকবালের দল। শেষ ওয়ানডেতে ৫০ রানের জয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়িয়েছে টাইগাররা।

প্রথম দুই ওয়ানডে জিতে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করেছিল ইংল্যান্ড। তাই দুই দল দুই লক্ষ্য নিয়ে চট্টগ্রামে পা রেখেছিল। সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেটা ইংল্যান্ডের জন্য ছিল কেবলই নিয়ম রক্ষার ম্যাচ।

ভালো শুরু করেছিলেন দুই ইংলিশ ওপেনার জেসন রয় এবং ফিল সল্ট। তাদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বিনা উইকেটে দলীয় হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু এরপর স্কোরবোর্ডে আর ৫ রান যোগ করতেই ৩ উইকেট হারায় সফরকারীরা।

৫৫ রানের মধ্যে ইংলিশদের টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে ফিরিয়ে ভালোভাবেই ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। সাকিব ২টি এবং এবাদত এক উইকেট তুলে নেন ১ রানের ব্যবধানে। এরপর স্যাম কারান এবং জেমস ভিন্সের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় ইংল্যান্ড। তবে কারানকে ২৩ রানে ফিরিয়ে সেই জুটি ভাঙেন মিরাজ।

কারানের পর বাটলারের সঙ্গেও জমে যাচ্ছিল জেমস ভিন্সের জুটি। তবে সেটা করতে দিলেন না সাকিব। এই স্পিনারের আর্ম ডেলিভারিতে ডিফেন্স করতে গিয়ে উইকেট কিপারের হাতে ধরা পড়েন ভিন্স। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৪৪ বলে ৩৮ রান।

পরের ওভারেই বোলিংয়ে এসে মঈন আলীকে ফিরিয়ে দেন এবাদত হোসেন। লেগ স্টাম্পের ওপর করা দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে এই অলরাউন্ডারকে সরাসরি বোল্ড করেন এই টাইগার পেসার। ২ রানের বেশি করতে পারেননি মঈন।

১৩০ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারানোর পর ক্রিস ওকসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করছিলেন জস বাটলার। তবে ২৬ রানে কাটা পড়েছেন ইংলিশ অধিনায়ক। তাইজুলের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়লে রিভিউ নেন বাটলার, তবে তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি তার।

এরপর ওকস এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং করেছেন। তবে সেটা কেবলই ব্যবধান কমিয়েছে। লেজের সারির ব্যাটাররা খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। আদিল রশিদ-রেহান আহমেদরা দ্রুতি সাজঘরে ফিরেছেন। এই দুইজনের কেউই দুই অঙ ছুঁতে পারেননি।

শেষ পর্যন্ত ৪৩ ওভার ১ বল শেষে ১৯৬ রান তোলে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। বাংলাদেশের হয়ে ৩ উইকেট শিকার করে দলের সেরা বোলার সাকিব।

এর আগে প্রথমে ব্যাট করে নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের অর্ধশতকে ভর করে বাংলাদেশ দল সংগ্রহ করে ২৪৬ রান। ৪৯তম ওভারে অলআউট হয় বাংলাদেশ।

 

শেয়ার করুন:

Recommended For You