ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার প্রধান দায়িত্ব পালন করা প্রক্টর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের ধূম্রজাল ছড়ানো হচ্ছে। তবে অবৈধ কোন সম্পদ নেই বলে জনিয়েছেন ইবি প্রক্টর। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন সংশ্লিষ্টতা না থাকলে বিষয়টি ব্যক্তিগত বলে দায় এড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করা উপ-উপাচার্য।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমাকে নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে যা প্রচার করা হচ্ছে তা সঠিক না। দুর্নীতিতে আমার কোন প্রকার সংশ্লিষ্টতা নেই এবং অবৈধ কোন সম্পদ আমার নেই। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। আমি নিজের স্থান থেকে চিন্তা মুক্ত কারণ এসবের অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই। যার জন্য আমার মানহানি হচ্ছে। আবারো জানাচ্ছি আমার অবৈধ কোন সম্পদ নেই।
দুদক কুষ্টিয়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নীল কমল পাল জানান, প্রক্টর এর বিরুদ্ধে প্রচারিত অভিযোগগুলোর বক্তব্য সম্পূর্ণ মনগড়া। আমি অভিযোগ বিষয়ে দুদকের নাম ব্যবহারে প্রচারিত বক্তব্যের বিষয়টি অবাক। আসলে আমাদের কাছে কোন অভিযোগ আসলে এটি আমাদের বাছাই কমিটি দ্বারা ওপেন করা হয়। কোন অভিযোগ বাছাই কমিটির কোন সদস্যই ওপেন করার কোন ক্ষমতা রাখে না।
আমরা আগামী মাসে বাছাই কমিটি বসবো। তখন কমিটির সদস্যরা বসে দেখা হবে কার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ উঠেছে। তার পূর্বেই মানুষজন প্রচার করলে তা বিশ্বাসযোগ্য না। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের বিষয়ে দুদকে গচ্ছিত স্পষ্ট কোন অভিযোগ বা তথ্য জানা নেই বলে মুঠোফোনে জানিয়েছে দুদকের উপ-পরিচালক মো.শহিদুল ইসলাম।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালাম ছুটিতে থাকায় অফিসে গিয়ে তার সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। এছাড়া ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। তবে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান বলেন “দুদকের বিষয়টা জানা নেই তবে যদি হয় তবে প্রশাসন ব্যক্তিগত বিষয়ে কী হস্তক্ষেপ করবে? যদি বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন কাজের সাথে সংশ্লিষ্টতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে তাহলে তখন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডব্লিউজি/এআর/অভি