
ফিরে এসেছে কোভিড। প্রচুর মানুষ আক্রান্ত। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে কাশির সঙ্গে কফ উঠতে পারে। এটাও একটা লক্ষণ। আসুন জানা যাক।ফের বাড়তে শুরু করেছে করোনা। এই ভাইরাস মিউটেট করে এসে আবার সমস্যা তৈরি করেছে। তাই বৃদ্ধি পাচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যা। মুশকিল হল, শুধু আক্রান্ত বৃদ্ধি নয়, এর পাশাপাশি কিছু সমস্যাও দেখা দিচ্ছে। নতুন নতুন উপসর্গ সামনে আসছে। তাই করোনাভাইরাসকে নিয়ে ছেলেখেলা বন্ধ করতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
এখন চারিদিকে বিএফ.৭ নিয়ে মাথাব্যথা। এই ভাইরাস কিন্তু বিভিন্ন জটিল সমস্যার কারণ। এই ভাইরাস হল ওমিক্রনের মিউটেট করা রূপ। চিনে করোনা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ এই জীবাণু। এরপর থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এই ভাইরাসকে ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন বা চিন্তার কারণ বলে দিয়েছে।
করোনাভাইরাসের উপসর্গ সবসময় একরকম থাকছে না। কিছু সময় তা বদলে বদলে যাচ্ছে। আগে যা লক্ষণ জানা গিয়েছিল তার সঙ্গে সংযোজন হচ্ছে নতুন কিছু। এই কারণে সচেতন থাকতে হবে।
আসলে করোনার শুরুর সময় থেকেই কাশি ছিল উপসর্গ। তবে হতো শুকনো কাশি। কিন্তু বর্তমানে কাশির সঙ্গে কফও উঠছে। আর এর থেকেই মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সাবধান হওয়ার চেষ্টা করুন।
১. কাশির সঙ্গে কফঃ টিওআই-এর একটি প্রতিবেদন জানাচ্ছে, কাশির সঙ্গে কফ থাকছে অনেকের। জোয়ো কোভিড অ্যাপকে উদ্ধৃত করা এখানে বলা হয়েছে, করোনা আক্রান্তদের মধ্যে কাশি তো থাকছেই, পাশাপাশি কফও বের হচ্ছে। এই কফ জমে থাকে আপনার রেসপিরেটরি প্যাসেজে। এবার কফের রং নিয়ে তেমন একটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। নানা রঙের হতে পারে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে কাশির সঙ্গে কফ ওঠা ব্যক্তিদের প্রায় ৪৫ শতাংশ কোভিডে আক্রান্ত। তাই সতর্ক তো থাকতেই হবে। তবেই বাঁচতে পারবেন।
-স্টিম নিন
-ব্রিদিং কন্ট্রোল টেকনিক মানতে হবে
-নাক দিয়ে শ্বাস নিন এবং শ্বাস ছাড়ুন নাক দিয়ে।
এভাবেই আপনি সমস্যার সমাধান করে ফেলতে পারবেন। তাই চিন্তার কোনও কারণ নেই বললেই চলে। তবে অনেকসময় এই উপায়ে কাজ হয় না। তখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।কোভিডের অন্যান্য লক্ষণঃ-
- গলা ব্যথা
- নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া
- হাঁচি
- কাশি
- মাথা ব্যথা
- গলা ভেঙে যাওয়া
- পেশিতে ব্যথা
- স্বাদ ও গন্ধ নিতে সমস্যা ইত্যাদি।