কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বাগেরহাটে বিক্ষোভ।

সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ছবি – সংগৃহীত,

কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা সোহাগ মোল্লার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বাগেরহাটের চিতলমারীতে বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সদর বাজারের বড়ো ব্রিজ থেকে শুরু করে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা মোড়ে পথসভায় মিলিত হন নেতাকর্মীরা। এ সময় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতারা সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সোহাগ মোল্লার মুক্তি না হলে রাজপথ উত্তাল করে তুলবো।

মিছিলে অংশ নেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মমিনুল হক টুলু বিশ্বাস, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব ঠান্ডু, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক শরিফুল হাসান অপু, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট ফজলুল হক, যুবদলের আহ্বায়ক জাকারিয়া মিলন, সদস্য সসিব শেখ আসাদুজ্জামান, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মিয়তাম আলী খান, কৃষক দলের সভাপতি শহিদ শেখ, সাধারণ সম্পাদক জব্বরুল শেখ, শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি টিপু সুলতান, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক রাজু খান, তাঁতি দলের সভাপতি মামুন তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক রাজিব ফাইক, উপজেলা মহিলা দলের সাবেক সভানেত্রী সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুনা গাজী, ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক লিমন বিশ্বাস ইউনুস, সদস্য সচিব ইলাহিম মোল্লাসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।

সভায় বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, শেখ হাসিনার গায়েবি মামলায় আজ কারাগারে আছেন সোহাগ মোল্লা। প্রশাসনের নির্দেশে বিএনপির নিরপরাধ নেতাকর্মীদের একের পর এক সাজানো মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, বিলম্বে হলেও সোহাগ মোল্লার মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে।

তারা আরও বলেন, সোহাগ মোল্লার মতো ত্যাগী ও নিঃস্বার্থ নেতাকে মিথ্যা গায়েবি মামলায় জেলে পুরে সরকার ভেবেছে বিএনপিকে স্তব্ধ করা যাবে এটা তাদের ভুল হিসাব। শেখ হাসিনার আমলে যত আজগুবি মামলা হয়েছে সবকটির নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়বো না। সোহাগ মোল্লার মুক্তি না দিলে দেশের প্রতিটি জনপদে আগুন জ্বলবে, রাজপথ কাঁপবে। জনগণ আজ ন্যায়বিচারের দাবিতে রুখে দাঁড়িয়েছে, গদি রক্ষার সকল পথ বন্ধ হয়ে গেছে। সরকারকে স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই বিএনপির আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবে না, বরং আরও জোরালো হবে। প্রয়োজনে সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনেও আমরা রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়বো।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে সড়ক অবরোধের ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে বনানী থানায় মামলা করে পুলিশ। ওই মামলায় তদন্ত শেষে একই বছরের ১৯ ডিসেম্বর ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়। পরবর্তীতে আদালত অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করে। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) মামলার আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করলে ঢাকার সিএমএম আদালত ৬ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বাগেরহাট প্রতিনিধি। ডব্লিউ জি নিউজ

Recommended For You

About the Author: Shafiul Islam