
ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ আগস্ট ২০২৫

ছবি – সংগৃহীত
আজ সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত বুয়েট শিক্ষার্থী শাদিদকে দেখতে গিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার দুই বিশেষ সহকারী শেখ মইনুদ্দিন এবং ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
বুয়েটের ২০২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী সৈয়দ শাদিদ নাসিফ ঢাকা মেডিকেল কলেজের ইমার্জেন্সি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এসময় কেবিনে শাদিদের বাবা, মা ও বোনসহ কয়েকজন আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত ছিলেন।
ডব্লিউ জি নিউজ সর্বশেষ সংবাদ জানতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন।
প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে শাদিদের মা বেশ আবেগঘন হয়ে পড়েন, এবং তার সন্তান সহ শিক্ষার্থীদের উপরে যেকোনো ধরনের বল প্রয়োগের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে তার নিশ্চয়তা চান। প্রতিনিধি দল বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং উল্লেখ করেন যে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এই ঘটনায় বাংলাদেশ পুলিশের ডিএমপি প্রধানের মত অবস্থান থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে ।
প্রতিনিধি দল পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে, চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।
শাদিদের বাবা রংপুরে একটি কলেজের শিক্ষক এবং বোন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। রংপুর থেকে আসা পরিবারের অপরাপর সদস্যদের উপস্থিতিতে দুই বিশেষ সহকারী শাদিদের সব ধরনের চিকিৎসা সহায়তা সহ প্রয়োজনে যেকোনো উন্নততর চিকিৎসার আশ্বাস দেন।
এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, শাদিদের অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। শাহিদ অবস্থা স্থিতিশীল। তবে পঞ্চম দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, চিকিৎসক দল পঞ্চম দিন অতিবাহিত হবার পরে সেলাই পরিস্থিতি বিবেচনায় আইসিইউতে স্থানান্তর করা লাগবে কিনা সেই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।
প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টা এবং প্রকৌশলীদের চাকরির অসন্তোষ সমাধানে গঠিত কমিটির প্রধান উপদেষ্টা এম ফাওজুল কবির খানের পক্ষ থেকে পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। এবং সাপোর্ট স্টাফ ও নার্স, চিকিৎসকদল সহ সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানান।
পরবর্তীতে প্রতিনিধি দল শাদিদের বুয়েট’২০ ব্যাচের কয়েকজন সহপাঠী এবং উপস্থিত প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের সংগঠকদের সাথে কথা বলেন। পাশাপাশি শাদিদের সহপাঠীরা স্নাতক প্রকৌশলীদের দাবির একটি যৌক্তিক এবং শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তির ব্যাপারে প্রতিনিধি দলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
ডব্লিউ জি নিউজ ডেস্ক