পাবনায় সব ফার্মেসি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা, ভোগান্তিতে রোগী 

বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ছবি – সংগৃহীত,

ঔষধ প্রশাসনের সঙ্গে বিরোধের জের ধরে পাবনায় সব ফার্মেসি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস সমিতির পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেন ব্যবসায়ীরা। 

এদিকে হঠাৎ এ সিদ্ধান্তে জেলার রোগী ও মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্তরা নিত্যপ্রয়োজনীয় ওষুধ কিনতে এসে না পেয়ে সংকটে পড়ছেন। 

তারা বলছেন, প্রশাসন ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা বাড়তে থাকলে খেসারত দিতে হবে সাধারণ মানুষকে। দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে সমাধান না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। 

পাবনার ঔষধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক নাজমুল হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল বুধবার সকালে অভিযানে নামেন। তারা বিভিন্ন দোকানে গিয়ে ড্রাগ লাইসেন্স, ফার্মাসিস্টের উপস্থিতি, ওষুধের মান ও সংরক্ষণ পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করেন। 

অভিযানকালে একাধিক দোকানে অনিয়ম ধরা পড়লে জরিমানা করা হয়। তবে এই অভিযানে কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস সমিতির সঙ্গে কোনো সমন্বয় না করায় ক্ষুব্ধ হয়ে ফার্মেসি মালিকরা অবরোধ ও অনির্দিষ্টকালের জন্য দোকান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন।

শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের রোগী মিজানুর রহমান বলেন, ‘ওষুধ ছাড়া রোগী একদিনও চলতে পারে না। চিকিৎসক ব্যবস্থাপত্র দিচ্ছেন; কিন্তু ফার্মেসি বন্ধ থাকায় আমরা ওষুধ পাচ্ছি না। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন ডায়াবেটিস ও হৃদরোগে আক্রান্তরা।

পাবনার ওষুধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক নাজমুল হোসেন বলেন, অননুমোদিত হারবাল ওষুধ রাখা বা প্রেসক্রিপশন দেওয়ার নিয়ম নেই। রোগীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন অনুযায়ী এ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। 

হারবাল ওষুধের প্রচার, বিপণন ও চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে লেখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে ওষুধ প্রশাসন। এ নিয়ম ভঙ্গ করলে চিকিৎসক ও ব্যবসায়ী উভয়ের বিরুদ্ধেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে ফার্মেসি মালিকরা বলছেন, চিকিৎসকরা হরহামেশা ব্যবস্থাপত্রে হারবাল ওষুধ লিখছেন। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। অথচ ফার্মেসিতে এসব ওষুধ রাখলেই ব্যবসায়ীদের জরিমানা করা হয়। এটি দ্বৈত নীতি, বলছেন তারা।

পাবনা প্রতিনিধি II ডব্লিউ জি নিউজ

Recommended For You

About the Author: Shafiul Islam