
ঢাকা, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শনিবার :

ছবি – সংগৃহীত
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার লেবুখালী আঙ্গারিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার ফরিদ উদ্দিনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। তারা সুপারের পদত্যাগ এবং এডহক কমিটি পুনর্গঠনের দাবি তুলেছেন। অভিযোগ রয়েছে, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সুপার ফরিদ উদ্দিন নিয়োগ বাণিজ্য, অর্থ আত্মসাৎ ও ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। নিয়মিত অফিসে উপস্থিত না থেকে বাইরে বসে কার্যক্রম পরিচালনা করায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ অভিভাবকদের।
ডব্লিউ জি নিউজ সর্বশেষ সংবাদ জানতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন।
বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড গত ২৪ জুন প্রতিষ্ঠানটির এডহক কমিটি অনুমোদন দেয়। ওই কমিটিতে সভাপতি হন স্থানীয় দোকানদার মো. আহসান উল্লাহ এবং শিক্ষক প্রতিনিধি হন আওয়ামী লীগ নেতা এ কে এম বশির উদ্দিন আহমেদ, যিনি ২০২২ সালের মৌকরন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ছিলেন।
স্থানীয়দের দাবি, বর্তমান সুপার সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা রিপন মোল্লার কাছ থেকে ১২ লাখ টাকার বিনিময়ে পদ পেয়েছিলেন। পরবর্তীতে তারা মিলে একটি সিন্ডিকেট গঠন করে বিভিন্ন পদে নিয়োগ দিয়ে প্রায় ৫০ লাখ টাকা লেনদেনের পাশাপাশি জমি আত্মসাতও করেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বর্তমান এডহক কমিটি গোপনে নতুন করে নিয়োগ বাণিজ্য ও অর্থ আত্মসাতের পরিকল্পনা করছে। এ ঘটনায় অভিভাবক ও স্থানীয়দের পক্ষ থেকে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে।
এক ছাত্রীর অভিভাবক খালেক হাওলাদার বলেন, “সুপার আওয়ামী লীগের লোক ধরে ধরে কমিটি করছে। নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে শিক্ষক প্রতিনিধি বানানো হয়েছে। এ ধরনের একতরফা কমিটি আমরা চাই না।”
এলাকার বাসিন্দা মানিক হাওলাদার বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানের পরেও এমন একতরফা কমিটি আমাদের প্রত্যাশিত ছিল না। আওয়ামী পুনর্বাসন করে গঠিত এই কমিটি অবিলম্বে ভেঙে দিতে হবে। না হলে এলাকাবাসী আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।”
এ বিষয়ে সুপার ফরিদ উদ্দিনের বক্তব্য হলো, “আমার মতে আওয়ামী লীগের লোক রাখা উচিত হয়নি। তবে শিক্ষকদের মতামতের ভিত্তিতে তার নাম প্রস্তাব করা হয় এবং শিক্ষা অফিস সেটি অনুমোদন দেয়।”
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মজিবুর রহমান বলেন, “বিতর্কিত ব্যক্তিদের কমিটিতে রাখা সমীচীন হয়নি। তবে এটি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের এখতিয়ারভুক্ত। আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি, বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ডব্লিউ জি নিউজ ডেস্ক