
ঢাকা, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার :

ছবি – সংগৃহীত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ মখদুম হল ছাত্রদলের সহ-সভাপতি এ আর মিলন খান কর্তৃক জুলাই ৩৬ হলের ৯১ জন শিক্ষার্থীকে ‘বিনা পারিশ্রমিকের যৌনকর্মী’ আখ্যা দিয়ে কটূক্তি করার ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ডব্লিউ জি নিউজ সর্বশেষ সংবাদ জানতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন।
এসময় শিক্ষার্থীদের — ‘দায় চাপানোর রাজনীতি, বন্ধ করতে হবে’, ‘ধর্ষকদের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’, ‘চাঁদাবাজ আর স্বৈরাচার, মিলেমিশে একাকার’, ‘ধর্ষক আর স্বৈরাচার, মিলেমিশে একাকার’, ‘শিবিরের অঙ্গীকার, নিরাপদ ক্যাম্পাস’, ‘নারী হেনস্থা বন্ধ করতে হবে’— ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
মানববন্ধনে শিবিরের নেতাকর্মীরা জানান, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন জায়গায় নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে অশ্লীল বক্তব্য দিয়ে অন্যদের ওপর দায় চাপানোর রাজনীতি চলছে। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সংবাদ সম্মেলনে বসে ছাত্রশিবিরের ওপর দায় চাপানোর অপচেষ্টা চালিয়েছে। এসব দায় চাপানোর রাজনীতিকে শিক্ষার্থীরা লাল কার্ড দেখিয়েছে।’
মানবন্ধনে শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি ইউসুফ আলী বলেন, “পাঁচ আগস্টের পর এই দেশটাকে একটি দল পৈতৃক সম্পত্তি মনে করে বিভিন্ন ধরণের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে। রাবির ছাত্রদল নেতা নারীদের যৌনকর্মী বলে যে আখ্যায়িত করেছে— এটির আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা সারাদেশের ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, অপকর্মের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ছাত্রদলের কেন্দ্র থেকে রুট লেভেলের সবাই ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে উঠে-পড়ে লেগেছে, তারা বলে শিবিরের বিরুদ্ধে কর্মসূচি বানিয়ে দেবে কেন্দ্র থেকে। আমরা দেখতে পেরেছি ছাত্রদল আদর্শিকভাবে আমাদের সাথে পরাজিত হয়েছে। আমরা বলতে চাই— আপনারা আদর্শিকভাবে আমাদের সাথে লড়তে আসুন।’
শিবিরনেতা আরও বলেন, ‘আমরা দেখেছি ছাত্রদল ’৯০-এর রাজনীতিতে ফিরে যেতে চাইছে, পেশিশক্তি দেখাতে চাইছে। আমি বলতে চাই— ছাত্রশিবির তুলা নয় যে ফুঁ দিলে উড়ে যাবে, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ভিত এই বাংলাদেশের মাটির গভীর পর্যন্ত রয়েছে। ছাত্রশিবিরকে জবাই করার স্লোগান দেওয়া হয়েছে, এটা আবার কেন্দ্রীয় পেইজ থেকে অপপ্রচার চালানো হয়েছে। আমরা এমন একটি ক্যাম্পাস চাই যেখানে প্রতিটি শিক্ষার্থী থাকবে নিরাপদ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর বিএনপির নেতার নেতৃত্বে সাধারণ শিক্ষার্থীর ওপর হামলা হয়েছে, দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা হয়েছে— আমরা এটা প্রত্যাশা করিনি। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা হামলা করেছে। আমরা বলে দিতে চাই, আপনারা এসব বন্ধ যদি না করেন তবে ছাত্রলীগের যে অবস্থা হয়েছে, আপনাদেরও সেই অবস্থা হতে বাধ্য হবে।’
ইবি প্রতিনিধি II ডব্লিউ জি নিউজ