বর্ণিল আয়োজনে উদ্যাপিত হলো রুয়েট বিশ^বিদ্যালয় দিবস-২০২৫

১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, সোমবার :

ছবি – সংগৃহীত

আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদ্যাপিত হলো রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বিশ্ববিদ্যালয় দিবস-২০২৫।

সকালে প্রশাসনিক ভবন চত্বরে জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন-ফেস্টুন ও পায়রা উড়ানোর মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান। পরে শহিদ ছাত্রদের কবর জিয়ারত ওতাঁদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাত শেষে বৃক্ষরোপণ করা হয়।

সকাল সাড়ে দশটায় রুয়েটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষ্যে এক আনন্দ র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি রুয়েটের প্রশাসনিক ভবন থেকে শুরু হয়ে প্রধান ফটক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় প্রশাসনিক ভবনে গিয়ে শেষ হয়। দিবসটিউপলক্ষ্যে নিরাপদ রক্তদান কর্মসূচি ওফ্রি দন্ত মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়।

সোমবার ১১.৩০টার সময় প্রশাসন ভবন চত্বরে দিবসটি উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভায়  প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয় একটা দীর্ঘ সময় পার করেছে। ১৯৬৪ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত একটি পর্যায়, তারপর ২০০৩ সালের পর এটি বিশ^বিদ্যালয়ে পরিণত হয়।যখন এটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হলো তখন তার বৈশিষ্ট্য বদলে গেল। এখানে শিক্ষকদের সাথে ভবিষ্যৎ পণ্ডিতের সমাবেশ ঘটেছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়টিবিভিন্ন পথপরিক্রমায় গবেষণার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখে চলেছে। এই দীর্ঘ সময়ে যে বিকাশটা হয়েছে তা আমার কাছে খুব কৌতূহলময় বিকাশ মনে হয়েছে। আমাদের নীতি নির্ধারকগণও সনাতনী রাজনীতিবিদরা অনেকক্ষেত্রেইবিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গণশিক্ষারপার্থক্য করতে পারেন না। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে প্রতারণা হয়ে আসছেবিগত ২০০৮ সাল থেকে। অনেক জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে কিন্তু সেখানে শিক্ষক বসার জায়গা নেই, ল্যাবরেটরির কথা তো বাদই দিলাম। এই ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্ঞানচর্চারবিষয়ে সন্দেহপ্রকাশ করেন তিনি।

শিক্ষক-চিকিৎসক-প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের কাছে সাধারণ মানুষের বিভিন্ন ধরনের আকাক্সক্ষা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কিন্তু মুশকিল হচ্ছে আমাদের সবাই মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছি। মানসিকতা এবংকাজে-কর্মে এই পার্থক্যগুলো আমরা তৈরি করতে পারছি না। ফলে আমাদের মননটা যত সৃষ্টিশীল হওয়া উচিত ছিল, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যে জ্ঞান তৈরি করার কথা ছিল, সামগ্রিক যে পরিবেশ তৈরির কথা ছিল সেটা আসলে একেবারেই নেই।

এ সময় ইউজিসি সব সময় রুয়েটের পাশে থাকবে মর্মেতিনিপ্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন । ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রবিউল ইসলাম সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানেপ্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বক্তৃতা করেন রুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুর রাজ্জাক। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন রুয়েটের বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও রেজিস্টারবৃন্দ। আলোচনা সভার বিভিন্ন পর্যায়ে দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃতিত্বপূর্ণ অবদান রাখা রুয়েট শিক্ষার্থীদের হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেওয়া হয়।আলোচনা সভার পূর্বে রুয়েট অডিটোরিয়ামে শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী পোস্টার উপস্থাপনকরা হয়।

ওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী II ডব্লিউ জি নিউজ

Recommended For You

About the Author: Shafiul Islam