চুয়াডাঙ্গায় ঘরে ঘরে জ্বর, হাসপাতালে রোগির চাপে ডাক্তারা হিমসিম খাচ্ছে

২৬ আগষ্ট, মঙ্গলবার – ২০২৫,

ছবি – সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গায় জ্বর সর্দি কাশি রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে ঘরে ঘরে। প্রতিদিনই জ্বর গায়ে নিয়ে সদর হাসপাতালে আসছে চিকিৎসা নিতে। এমন অবস্থায় পর্ষাপ্ত ঔষুধ সরবরাহ আছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রোগির চাপ এতো বেশি যে হাসাপাতালের মহিলা ও পুরুষ ওয়ার্ডের মেঝেতে অবস্থান নিতে হয়েছে। আবহাওয়া বিরুপ আচরণের কারণে ভাইরাস জনিত জ্বর সর্দি কাশি রোগের প্রকোপ বেশি দেখা দিচ্ছে জানান চিকিৎসকরা। তবে পরামর্শ ও চিকিৎসার নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।

জানা যায়, বৈরি আবহাওয়ার বিরুপ আচরণ। সঙ্গে রয়েছে ডেঙ্গুর থাবা। বাড়ছে বিভিন্ন ভাইরাসের সংক্রমণ। ফলে আক্রান্ত হচ্ছে জ্বর সর্দি কাশি রোগ। সদর হাসপাতালে প্রতিদিনই গড়ে ২০০ থেকে ৩০০ রোগি আসছে। যার সবই জ্বর সর্দি আর কাশি সংক্রমণ রোগ আক্রান্ত। হাসপাতালের রোগির তুলনায় সংকট রয়েছে বেড। অনেককেই বেড না পেয়ে মেঝেতে অবস্থান করে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে। তবে হাসাপাতালে রয়েছে পর্যাপ্ত ঔষুধ সরবরাহ। তবে এই জ্বরের প্রকোপ থাকছে সাতদিন। সাতদিন পরও শরীর দূর্বল ও ব্যাথা নিয়ে হাসপাতালে আসতে হচ্ছে চিকিৎসা নিতে। প্রতিদিন হাসপাতালে আসা জ্বর আক্রান্ত রোগিদের চিকিৎসা দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে ডাক্তার ও নার্সদের। জ্বর আক্রান্ত রোগিদের বাড়ি থাকার পরামর্শ। একই সঙ্গে নিয়মিত ঔষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসকরা।

রোগীর স্বজনেরা জানান, হাসপাতালে বাচ্চা নিয়ে এসে কোনো সিটি খালি না পাওয়ায় মেঝেতেই ভর্তি হচ্ছে সবাই। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রোগী এখানে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। একদিকে জ্বর অপরদিকে অনেক রোগি। ফলে চিকিৎসা নিতে যেয়ে হিমসিম অবস্থা। আবার এদিকে হাসপাতালের চারপাশ আর্বজনা আর নোংরা পরিবেশ। ডাক্তার নার্সরা একটু লেটে আসছে কারণ অনেক রোগি বেশি তাই।

চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগি সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘জ্বর যাচ্ছে না। গ্রামের ঔষুধ খেয়ে কাজ হচ্ছে না। শেষে না পেরে হাসপাতালে আসতে হলো। এখন ডাক্তার দেখালাম দেখা যাক শরীর সুস্থ্য হয়ে কি না’।

আরেক রোগি হাসনা বেগম বলেন, ‘কয়দিন ধরে হঠাৎ করে শরীর দুর্বল ভাব হয়ে ব্যাথা শুরু হয়। তারপর জ্বর। জ্বর মেপে দেখলাম ১০৪ ডিগ্রি। এই জ্বর আসছে ভাইরাসের কারণে। ডাক্তার তো তাই বললো। তবে চিন্তার কিছু নেই। এসময় জ্বর সবার আসছে। ঔষুধ দিয়েছে আসাকরি সুস্থ্য হয়ে যাব’।

এবিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাস্পাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা.বিদ্যুৎ কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘জ্বর সংক্রমণ খুবই হচ্ছে। জ¦র আক্রান্ত রোগিদের আমরা বর্হিবিভাগে চিকিৎসা দিচ্ছি। প্রয়োজনিয় ঔষুধপত্র আমরা দিচ্ছি তাতে কোনো সংকট নেই। মুলত একটা ভাইরাসের কারণে জ¦র হচ্ছে। প্রতিদিনই দুই শতাধিক রোগিকে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। এখানে ডাক্তার ও নার্সরা হিমসিম খেয়ে যাচ্ছে। তবে এই জ¦র খুবই মারাত্মক সংক্রমণ অবস্থায় যাচ্ছে না’।

চিত্তরঞ্জন সাহা চিতু চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা II ডব্লিউ জি নিউজ

Recommended For You

About the Author: Shafiul Islam