লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে টয়লেট পাইয়ে দেয়ার নাম করে ১৫টি পরিবারের কাছ থেকে প্রায় ৪৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত রবিউল উপজেলার সোনাপুর ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। যুবদলের রাজনীতির সাথে জড়িত। এ ঘটনায় তার সহযোগী আহাদ হোসেন আশিকের কথাও জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা। তবে উপজেলা প্রশাসন বলছে, সরকারের পক্ষ থেকে এ ধরণের কোনো প্রকল্পই নেওয়া হয়নি।
জানা গেছে, সরকারি বরাদ্দের টয়লেট দেওয়ার কথা বলে উপজেলার চর মোহনা ইউনিয়নের চর মোহনা গ্রামের প্রায় ১৫টি পরিবারের কাছ থেকে ৪৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে রবিউল। ভুক্তভোগীদের দাবি, পাঁকা টয়লেট সরকারিভাবে এনে দেওয়ার নাম করে ২ হাজার ৫০০, তিন হাজার ও চার হাজার টাকা করে নেয় রবিউল ও তার সহযোগী আশিক।
প্রলোভনে পড়ে টাকা দিয়ে প্রতারণার শিকার চর মোহনা গ্রামের দেওয়ান বাড়ির বাসিন্দা তাসলিমা আক্তার বলেন, ‘আমি ৩ হাজার টাকা দিয়েছি। কিন্তু টয়লেট দেয়নি রবিউল।’ আরেক ভুক্তভোগী নয়ন আক্তার বলেন, ‘ধার করে তাদের হাতে তিন হাজার টাকা দিয়েছি। সবাই দিয়েছে, তাই আমরাও দিয়েছি। কিন্তু এক মাস অতিবাহিত হলেও টয়লেট পাইনি।’
তারা ছাড়াও প্রতারণার শিকার হয়েছেন মুক্তার, বাচ্চু মিয়া, জাহানারা বেগমসহ ১৫ জন।
সর্বশেষ আপডেট পেতে ভিজিট করুন https://worldglobal24.com/
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আশিক বলেন, ‘টাকা নিয়েছে রবিউল। টাকা নিয়ে সে কী করেছে তা আমার জানা নেই। সরকারি বরাদ্দের জন্য টাকা দিতে হয়- এমন ভাবনা থেকে তার সঙ্গে ছিলাম। প্রতারণার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।’
টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে রবিউল বলেন, ‘আমি টাকা নিয়েছি। টয়লেট পাইয়ে দেয়ার নাম করে নিলেও সব টাকা দ্রুত ফেরত দিবো।’
তবে রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরান খাঁন বলেন, ‘এ ধরনের প্রকল্প এখনো শুরুই হয়নি। যারা এসব করছে তার পুরোটাই ভুয়া। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।