স্বৈরতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা আর চলতে দেওয়া হবে না: সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা

স্বৈরতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা আর চলতে দেওয়া হবে না: সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা

সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, ৫ আগস্টের পর স্বৈরতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা আর চলতে দেওয়া হবে না। স্বৈরতান্ত্রিক সরকারের পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তবর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর অভিবাসীদের সাজা মুক্তি সম্ভব করেছে। এমন অর্জন অভিবাসীদের বার্তা দেয়, বাংলাদেশ সরকার তাদের পাশে আছে। 

শনিবার (০৯ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে “ভয়েসেস অব রেজিলিয়েন্স: এমপাওয়ারিং বাংলাদেশ মাইগ্র্যান্ট ওয়ার্কার্স” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

সেমিনারে উদ্বাস্তু ও অভিবাসী আন্দোলন গবেষণা ইউনিটের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. তাসনিম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন সলিডারিটি সেন্টার বাংলাদেশের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার লিলি গোমস, আইন ও উন্নয়ন গবেষণা ফাউন্ডেশনের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ফাউজিয়া করিম ফিরোজ এবং রিক্রুটিং এজেন্সির পক্ষ থেকে এবিএম শামসুল আলম বক্তৃতা করেন।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেন,  নারী উন্নয়নে সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কাজের সম্পৃক্ততা রয়েছে ।  এজন্য মাইগ্রেন্ট অভিবাসী নারী ওয়ার্কারদের উন্নয়নে পরিকল্পিত পরিকল্পনার মাধ্যমে পলিসি গ্রহণ করতে হবে, বিদেশে যাওয়ার সময় হয়রানি থেকে মুক্ত পেতে পুরনো এয়ারপোর্টে তাদের সার্বিক সহযোগিতার জন্য ব্যবহারের জায়গা নির্ধারণ করতে হবে, তাহলে নারীদের স্বার্থ রক্ষা হবে।

সর্বশেষ আপডেট পেতে ভিজিট করুন https://worldglobal24.com/

তিনি বলেন, সরকার শাসনব্যবস্থায় এতদিন ব্যবসায়ী শাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিল। সুশীল সমাজে যারা নাগরিকত্ব করে ব্রকারেসি করেছেন তারা সরকারের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে শুধু নিজেদের আখের গুছিয়েছেন। এটা গণতন্ত্র নয় এটা, অনৈতিক গণতন্ত্র তারা তৈরি করেছিলেন। এটা আর চলতে দেওয়া যাবে না। তিনি আরো বলেন, অভিবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স এদেশের অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রেখেছে, তাদের সুরক্ষা বিষয়ে আমাদের ভাবতে হবে। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশকে সমৃদ্ধ করতে নতুন উদ্যমে সকলকে সাথে নিয়ে কাজ করতে চাই‌।

অনুষ্ঠানে বক্তারা অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষায় সরকারের দায়িত্ব এবং প্রাসঙ্গিক নীতিমালা বাস্তবায়নের উপর জোর দেন। অভিবাসন সংক্রান্ত বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আইনি সহায়তা, পুনর্বাসন ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা তুলে ধরা হয়।

শেয়ার করুন:

Recommended For You