বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ নতুন করে আরও ১০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে ভারতের আদানি গ্রুপ। গত মাসের শেষ দিকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ ৫০ শতাংশ কমিয়ে দেয় ভারতের আদানি গ্রুপ। ফলে মোট ৬০ শতাংশ বিদ্যুৎ আসা বন্ধ হয়ে গেল ভারত থেকে। কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশের কাছে পাওনা অর্থ (৮০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি) আদায়ের চেষ্টা করছে আদানি গ্রুপ।
বাংলাদেশের গ্রিড অপারেটর এবং এই পদক্ষেপ সংশ্লিষ্ট দুটি সূত্রের তথ্য অনুসারে শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সঞ্চালনের ডাটা থেকেও জানা গেছে এই তথ্য।
বকেয়া ৮০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি আদায়ের চেষ্টায় বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে আদানি গ্রুপ – এমনটাই বলা হচ্ছে।
শুধু বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করে আদানি।
গত আগস্ট মাসেও এই কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়েছে।
কিন্তু অক্টোবরের শেষ দিকে এটি ৭০০ থেকে ৭৫০ মেগাওয়াটে নামিয়ে আনে তারা।
সর্বশেষ আপডেট পেতে ভিজিট করুন https://worldglobal24.com/
পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশের তথ্য এবং বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) একজন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বাংলাদেশে মাত্র ৫২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করে তারা।
বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফৌজুল কবির খান বৃহস্পতিবার রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা ধীরে ধীরে বকেয়া পরিশোধ করছি এবং কেউ সরবরাহ বন্ধ করলে বিকল্প ব্যবস্থা নেব। আমরা কোনো বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীকে আমাদের জিম্মি করতে দেব না। ’
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, দ্রুত বকেয়া পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ। এরপর নভেম্বরের বকেয়া সময়সীমা প্রত্যাহার করে আদানি। তা সত্ত্বেও বিদ্যুৎ সরবরাহ কমা অব্যাহত রয়েছে।
রয়টার্সকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ কমিয়ে দেওয়া ও বকেয়া আদায়ের বিবরণের বিষয়ে প্রশ্নের জবাব দেয়নি আদানি গ্রুপ কর্তৃপক্ষ।
তবে আদানির একটি সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশের চাহিদা এবং একইসঙ্গে বকেয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে সরবরাহ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।