গত সোমবার ইসরায়েলের চালানো বিমান হামলায় লেবাননে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৫৮ জনে দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার(২৪ সেপ্টেম্বর) দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফিরাস আবিয়াদ জানান, নিহতদের মধ্যে ৫০ শিশু, ৯৪ নারী ও চার উদ্ধারকর্মী রয়েছেন।
এই হামলায় বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন দক্ষিণ লেবাননের সীমান্তবর্তী অঞ্চলের ১৬ হাজার ৫০০ সাধারণ মানুষ। বাস্তুচ্যুতদের জন্য ১৫০টি স্কুলে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। আজও লেবাননের বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল।
এদিকে হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা হাইফার দক্ষিণে ইসরায়েলের ইলিয়াকিম সামরিক ঘাঁটিতে ফাদি-২ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে।
সবার আগে সর্বশেষ সংবাদ পেতে ভিজিট করুন https://worldglobal24.com/latest/
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র লেবানন থেকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে অতিক্রম করার সময় শনাক্ত করা হয়। এই হামলায় এক ইসরায়েলি সেনা আহত হলে তাকে সপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ক্ষেপণাস্ত্র গুলোর কয়েকটি ইন্টারসেপ্ট করা হয়। ইলিয়াকিম এলাকা থেকে ক্ষেপণাস্ত্র গুলোর টুকরোগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
ইসরায়েলি বিমান বাহিনী জানিয়েছে, লাবাননের যে লঞ্চার থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছিল তা শনাক্ত করে ওই লঞ্চার গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
লেবানন সরকার জানিয়েছে, দখলদার বাহিনীর হামলার জেরে এরইমধ্যে বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন প্রায় ১৭ হাজার মানুষ। তাদের বেশিরভাগই দক্ষিণ লেবাননের সীমান্তবর্তী অঞ্চলের বাসিন্দা। তাদের ১৫০টি স্কুলে তৈরি করা অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
কয়েকদিন ধরে লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী ও ইসরাইলি বাহিনীর মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছিল। এরই মধ্যে আজ আকাশপথে ব্যাপক হামলা শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী। জবাবে ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলে রকেট ছুড়েছে হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা।
হিজবুল্লাহ বলেছে, তারা এসব হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলি ঘাঁটিগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে।
আল জাজিরা