বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) শনিবারের (৭ সেপ্টেম্বর) বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুসারে আজ রোববার সাভারের আশুলিয়ার পোশাক কারখানাগুলো খোলার কথা ছিল। কিন্তু তা থাকা সত্ত্বেও ৩০ পোশাক কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। দুপুর দেড়টার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন শিল্পপুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম।
জানা গেছে, প্রায় ৯ দিন ধরে শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবির কারণে আশুলিয়ার পোশাক খাতে অস্থিরতা বিরাজ করছে। বিজিএমইএর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রোববার সকালে কারখানাগুলোর মালিক পক্ষে উপস্থিতিতে সেগুলো খোলা হয়। ৩০ কারখানার শ্রমিকদের দাবি নিয়ে মালিক পক্ষের আলোচনাও হয়। কিন্তু কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছতে না পারায় দুপুরে কারখানা ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
পোশাক শ্রমিকরা জানায়, বেলা ১১টা পর্যন্ত আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চলে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক ছিল। তবে, নিউএজ, আল মুসলিম, হা-মীমসহ কয়েকটি পোশাক কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হলে অন্যান্য কারখানায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে ধীরে ধীরে ৩০টিরও বেশি কারখানা ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
শিল্প পুলিশ জানায়, শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি প্রসঙ্গে মালিকপক্ষ আলোচনা করলেও অনেক কারখানার আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ ছুটি ঘোষণা করতে বাধ্য হয়। এখন পর্যন্ত শিল্পাঞ্চলের বাকি কারখানাগুলোয় কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
সবার আগে সর্বশেষ সংবাদ পেতে ভিজিট করুন https://worldglobal24.com/latest/
বিজিএমইএ সূত্রে জানা যায়, সকালে আশুলিয়ার অধিকাংশ কারখানা খুললেও ইয়াগি বাংলাদেশ, নিউএজ, আল মুসলিম, জেনারেশন নেক্সটসহ অন্তত ২০টি কারখানার শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবিতে কাজ বন্ধ করে বের হয়ে যায়। এছাড়া লুসাকা, মাসকাট, বেক্সিমকো (২১ ইউনিট) নিট কম্পোজিটসহ সাতটি গ্রুপ বা কারখানার শ্রমিকরা কর্মস্থলের অভ্যন্তরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এছাড়া শুরু থেকেই ৫-৬টি কারখানা শ্রমিকদের দাবির মুখে বন্ধ।
মূলত, শ্রমিকদের দাবিগুলো নিয়ে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করেনি। তাই এমন ঘটনা ঘটছে। তবে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের দাবিগুলো নিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠক করলে সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে বলে জানান খায়রুল মামুন মিন্টু।
শিল্পপুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকে কারখানাগুলোয় স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজে যোগ দিয়েছিল শ্রমিকরা। দুয়েকটি কারখানা ছাড়া বাকিগুলোয় কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল। বেলা ১১টার পর বিভিন্ন দাবি নিয়ে মালিকপক্ষের শ্রমিকদের আলোচনা হয়। তারা কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছতে না পারায় ৩০ কারখানায় কর্তৃপক্ষ ছুটি ঘোষণা করেছে।