কুষ্টিয়া মডেল থানা থেকে লুট হওয়া উদ্ধার ৩৫টি আগ্নেয়াস্ত্র, সহস্রাধিক গুলি ও টিয়ার শেল উদ্ধার করে সেগুলো পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন সেনাসদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (২২ আগষ্ট) সকালের দিকে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে জমা দেন সেনাবাহিনীর পক্ষে ক্যাপ্টেন লাম ইয়ানুল ইসলাম।
এর আগে ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন কুষ্টিয়া মডেল থানা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালানো হয়। এ সময় লুট করা হয় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ।
৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। এরপর কুষ্টিয়া মডেল থানায় হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় অস্ত্র, গোলাবারুদসহ যে যা পেরেছে লুটপাট করে নিয়ে যায়। এর পর থেকে ব্যবহার অনুপযোগী কুষ্টিয়া মডেল থানার দাপ্তরিক কাজ চলছে সদর পুলিশ ফাঁড়িতে।
সবার আগে সর্বশেষ সংবাদ পেতে ভিজিট করুন https://worldglobal24.com/latest/
এ বিষয়ে ক্যাপ্টেন লাম ইয়ানুল ইসলাম জানান, সাধারণ মানুষ সেনাবাহিনীকে অস্ত্র উদ্ধারে সহায়তা করছে। তারা তথ্য দিচ্ছে, আবার অস্ত্র উদ্ধার করে জমা দিচ্ছে। এর আগে বিভিন্ন স্থানে মডেল থানা থেকে খোয়া যাওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ নির্ভয়ে সেনাবাহিনীর কাছে ফেরত দেওয়ার জন্য প্রচার চালানো হয়।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) তারেক জুবায়ের বলেন, মডেল থানা থেকে খোয়া যাওয়া অস্ত্র, গুলি ও টিয়ার শেল উদ্ধার করে পুলিশের কাছে জমা দিয়েছে সেনাবাহিনী। খোয়া যাওয়া অস্ত্র ধীরে ধীরে উদ্ধার হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, অস্ত্রগুলো খারাপ মানুষের হাতে পড়লে তারা অন্যায় কাজে ব্যবহার করতে পারে। তাই এগুলো উদ্ধার করা খুবই জরুরি। যে কেউ নির্ভয়ে খোয়া যাওয়া অস্ত্র আমাদের কাছে জমা দিতে পারেন। নিজেরা ভয়ে আসতে না পারলে অন্য কাউকে দিয়ে জমা দিতে পারবে।