বাগেরহাটে শিক্ষকের বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

বাগেরহাটে শিক্ষকের বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন
বাগেরহাট সদর উপজেলার চিরুলিয়া স্কুল এ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মোসাঃ মনোয়ার খাতুনের বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে কলেজের সামনের সড়কে জড়ো হয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচি পালন করেন। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, চিরুলিয়া স্কুল এ্যান্ড কলেজের শিক্ষক শেখ রেজাউল করিম, শিক্ষার্থী কারিমা আক্তার,তন্ময় কুন্ডু, শোহান আলম প্রমুখ। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে শতাধিক শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগণ অংশগ্রহন করেন।
বক্তারা বলেন, মোসাঃ মনোয়ার খাতুন একজন সৎ মানুষ ও ভাল শিক্ষক। কিন্তু একটি কুচক্রীমহল প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য অপপ্রচার চালাচ্ছেন। মনোয়ারা ম্যামের নামে বাজে পোস্টার ছাপিয়ে দেওয়ালে লাগিয়েছে। এটা কোন ভাবে মেনে নেওয়া যায় না। আমরা তার বিচার চাই।

সবার আগে সর্বশেষ সংবাদ পেতে ভিজিট করুন https://worldglobal24.com/latest/

মোস্তাকিন নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য এটা খুবই পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। এর সাথে যারা জড়িত রয়েছে, তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, সিসি টিভির ফুটেজে কয়েকজনকে ম্যাডামের নামে নোংরা পোস্টার লাগাতে দেখা গেছে। যারা এই নোংরা পোস্টার লাগিয়েছে, তাদের সাথে বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক মুস্তাহিদুর রহমান মুক্তা কয়েকদিন ধরে মিটিং করছিলেন। মূলত তার ইন্ধনেই এই ঘটনা ঘটেছে । ফুটেজে যাদের ছবি দেখা গেছে, তারা গা ঢাকা দিয়েছে। তাদেরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সব বেরিয়ে আসবে বলে দাবি করেন তিনি।
শিক্ষক শেখ রেজাউল করিম বলেন, সিসি টিভি ফুটেজে যাদের দেখা গেছে তারা গা ঢাকা দিয়েছে। এই মানববন্ধনে সব শিক্ষকরা আসছেন। কিন্তু একজন শিক্ষক আসেননি। এ থেকেই বোঝা যায় তিনি জড়িত। আমরা তদন্ত পূর্বক সকলের শাস্তি দাবি করছি।
এ দিকে নিজ নাম জড়িয়ে কুরুচিপূর্ণ পোস্টারিংসহ বিভিন্ন অপপ্রচার ও হুমকির অভিযোগে বুধবার রাতে বাগেরহাট সদর মডেল থানায় অভিযোগ করেছে চিরুলিয়া স্কুল এন্ড কলেজের বাংলার শিক্ষক মোসামাৎ মনোয়ারা খাতুন।
তিনি বলেন, কখনও কোন দিন কোন খারাপ কাজ করিনি। প্রতিষ্ঠানে কোন অন্যায় করিনি। এরপরেও যারা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছে, তাদের বিচার চাই।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান বলেন, শিক্ষিকা মনোয়ারা খাতুন ওই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ক্রীড়া শিক্ষক মুস্তাহিদুর রহমান মুক্তাকে ফোন করা হলেও, তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
শেয়ার করুন:

Recommended For You