পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় পূর্ব শক্রতার জেরে ইউপি সদস্যের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ও তার সমর্থকদের বাড়ীতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক লুটপাট, ভাংচুর এবং পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দেলোয়ার শেখের ছেলে সবুজ, সজীব শিমুল গং এর নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ দল। এ ঘটনাটির ৫দিন অতিবাহিত হলেও এখনও থানা পুলিশ মামলা নেয়নি অভিযোগ ভুক্তভোগিদের।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, সাঁথিয়া উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের যশমন্তদুলিয়া গ্রামের ইউপি সদস্য মো: সুজন আলী বিশ্বাস এর সাথে দেলোয়ার শেখের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে। গত ১৮ জুলাই বৃহষ্পতিবার বিকালে সবুজ শেখ, শিমুল শেখ ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে রবিন ও সেজানকে ব্যাপক মারধর করে।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য সুজন বিশ্বাসের কাছে সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন সেজান ও রবিনের অভিভাবকগণ। পরে ইউপি সদস্য সুজন বিশ্বাস আবার দেলোয়ার শেখের অনুসারি মজিবর বিশ্বাসের কাছে মিমাংসার জন্য দায়িত্ব দেয়। মজিবর বিশ্বাস গত ১৯ জুলাই শুক্রবার সন্ধায় এবিষয়ে মিমাংসা করে দিবেন বলে আশ্বাস দেন তাদের।
ওই দিন মিমাংসা করে না দেয়ায় পরের দিন ২০ জুলাই শনিবার মজিবর বিশ্বাসের নিকট এবিষয়ে কারণ জানতে চাইলে সুজন বিশ্বাসের অনুসারিদের সাথে বাগবিতান্ডা শুরু হয় এবং মারধরের ঘটনা ঘটে।
সবার আগে সর্বশেষ সংবাদ পেতে ভিজিট করুন https://worldglobal24.com/latest/
এঘটনার পরেই ওইদিন দুপুরে দিকে সবুজ, সজীব, শিমুলগং জরো হয়ে ইউপি সদস্য সুজন বিশ্বাসের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ভাংচুর লুটপাট করে এবং এস্কেভেটর পেট্রোল ঢেঁলে আগুন দেয়।
গত ২৪ জুলাই গভীর রাতে তারা প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হয়ে আবার এস্কেভেটরে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে প্রায় ১০-১২ লাখ টাকা ক্ষতি সাধিত হয়।
দেলোয়ার শেখের অনুসারির মারধরের ঘটনায় মামলা হলেও ইউপি সদস্য সুজন বিশ্বাসের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর লুটপাট এবং এস্কেভেটরে পেট্রোল পুড়ানোর ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলেও এখনও মামলা নেয়নি পুলিশ।
ইউপি সদস্য সুজন আলী বিশ্বাস বলেন, আমি থানায় অভিযোগ দেওয়ার পরেও পুলিশ কেন ব্যবস্থা গ্রহন করছে না। এখন আমার পরিবার ও আমার অনুসারিরা প্রায় গ্রহবন্ধি হয়ে আছে।
এমনকি দেলোয়ার বাহিনীর সদস্যরা প্রতিরাতেই গ্রামে এসে দেশীয় অস্ত্রসশস্ত্র সজ্জিত হয়ে মহড়া ও প্রাণ নাশে হুমকি দিচ্ছে আমাদের। এতে আমার পরিবার পরিজন নিয়ে ব্যাপক নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি।
এবিষয়ে অভিযুক্ত দেলোয়র শেখ বলেন, আমরা কোনো হামলা ভাংচুর করি নাই। তারাই তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে দোষ চাপাচ্ছে আমর ওপর। এখন আপনারা (সাংবাদিক) আমার বিরুদ্ধে যা পারেন তাই করেন গা।
এব্যাপারে সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ইউপি সদস্য সুজন বিশ্বাসরে লোকজন প্রথম মারামারি শুরু করেছে।
আগে ওইটার বিচার করি। তার পর সুজন বিশ্বাসের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুরের বিচার হবে। আর এস্কেভেটরে আগুন দেওয়ার ঘটনা সুজানগন থানার মধ্যে।