ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা, মারধর ও সংঘর্ষের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। শত শত শিক্ষার্থীর রক্ত জড়িয়ে ছাত্রলীগ অত্যন্ত জঘন্য ইতিহাস রচনা করেছে। এই পৈশাচিক হামলার নিন্দা জানানোর ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।
সোমবার (১৫ জুলাই) এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, আদালতের দোহাই দিয়ে সময়ক্ষেপণ করছে সরকার। সময় ক্ষেপন না করে কোটা সংস্কারের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান। তিনি হামলা, মামলা ও দমন-পীড়নের পথ পরিহার করার দাবি জানান। কোটা আন্দোলনকারীদেরকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে সরকার নিজেদের সর্বনাশা পতন ডেকে আনছে। সকল গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে কোটাপদ্ধতি সংস্কার করার এক দফা দাবিতে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। সারাদেশে কোটা আন্দোলনকারী নিরীহ নিরাপরাধ ছাত্রদের উপর ছাত্রলীগের বর্বর হামলা করে রক্তের নেশায় মেতে উঠে।
শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির সমাধান না করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নিয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রী তাচ্ছিল্য ও বেফাঁস মন্তব্য করে অত্যন্ত খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। শেখ হাসিনার উস্কানিমূলক বক্তব্যের জের ধরেই ছাত্রলীগ সাধারণ নিরস্ত্র ছাত্রছাত্রীদের ওপর অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঝাপিয়ে পড়েছে। একটি গণতান্ত্রিক দেশে যে কোনো দাবি নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করা অধিকার। কিন্তু আওয়ামী লীগ বরাবরই যৌক্তিক আন্দোলনকে দাবিয়ে রাখার জন্য ছাত্রলীগ-যুবলীগকে লেলিয়ে দেয়। এটা অত্যন্ত দুঃখ ও বেদনাদায়ক। ইসলামী আন্দোলনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করে যৌক্তিক আন্দোলনকে দমানোর চেষ্টা করছে। সারাদেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের হামলা করে কয়েকজনকে হত্যা করা হয়েছে। তারা ছাত্রলীগের খুনিদের গ্রেফতার এবং আহতদের যথাযথ চিকিৎসার দাবি জানান।