গর্ভধারণের আকাঙ্ক্ষা কারও কারও ক্ষেত্রে অধরা থেকে যায়। নিয়মিত শারীরিক মিলন সত্ত্বেও কোনো নারী এক বছর বা তার বেশি সময় ধরে গর্ভধারণে ব্যর্থ হলে চিকিৎসা বিদ্যায় সেটাকে বন্ধ্যাত্ব বলে ধরা হয়। তবে এজন্য নারী ও পুরুষ দুজনই সমানভাবে দায়ী।
এমন অনেক নারী আছেন যারা অনেকদিন ধরে চেষ্টা করেও গর্ভধারণে সফল হতে পারছেন না। অনেক কারণেই এমন সমস্যা হতে পারে। সেসব কারণ সম্পর্কে জানা থাকলে সমস্যা খুঁজে বের করা এবং তার সমাধান করা সহজ হতে পারে।
চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক গর্ভধারণে সমস্যা হতে পারে যেসব কারণে-
পুরুষের স্বাস্থ্য
গর্ভধারণ না হওয়ার পেছনে যে কেবল নারীর স্বাস্থ্যই দায়ী তা কিন্তু নয়। অনেক সময় এক্ষেত্রে পুরুষের স্বাস্থ্যও দায়ী হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপর্যাপ্ত শুক্রাণু সংখ্যা, শুক্রাণুর অস্বাভাবিক গতিশীলতা বা আকৃতি পুরুষের বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে। সেইসঙ্গে পুরুষের যদি মদ্যপানের অভ্যাস থাকে কিংবা ডায়াবেটিস থাকে, তবে সেক্ষেত্রেও নারীর গর্ভধারণ ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে।
ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ গুগল নিউজ অনুসরণ করুন
বয়স
গর্ভধারণের ক্ষেত্রে বয়সও একটি কারণ হতে পারে। কারণ আমাদের বয়সে সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত হতে থাকে উর্বরতার হার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নারীর বয়স ৩৭ পার হলে তাদের ডিম্বানুর গুণগত মান কমতে থাকে। যে কারণে এই বয়সের পর অনেকের ক্ষেত্রে গর্ভধারণ কঠিন হতে পারে। এদিকে পুরুষের বয়স ৪০ পার হলে তাদের শুক্রাণুর উর্বরতাও কমতে থাকে।
জরায়ুর আকৃতি
অনেক সময় গর্ভধারণ না হওয়ার পেছনে সেই নারীর জরায়ুর আকৃতি দায়ী হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জরায়ুর আকৃতি যদি সঠিক না হয় তাহলে তা অনেক সময় ডিম্বাশয়ের নিষেক প্রতিরোধ করতে পারে। যে কারণে গর্ভধারণে সফলতা আসে না। আবার ডিম্বাশয়ের আকৃতি সঠিক না হলেও একই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
স্ট্রেস
স্ট্রেস শরীরের জন্য নানাভাবে ক্ষতিকর হতে পারে। তার মধ্যে একটি হলো গর্ভধারণে সমস্যা সৃষ্টি করা। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, অতিরিক্ত মানসিক চাপ গর্ভধারণের ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই যতটা সম্ভব চাপমুক্ত জীবনযাপন করতে হবে। এক্ষেত্রে স্ট্রেস নারীর থেকে পুরুষকে বেশি প্রভাবিত করে থাকে।