ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, দেশে স্মার্ট তরুণ প্রজন্ম ও সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলতে আমাদের সন্তানদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে সরকার-প্রাইভেট সেক্টর-একাডেমিয়া-মিডিয়া পার্টনারশিপের ভিত্তিতে একসাথে কাজ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) সম্মেলন কক্ষে বিসিসি, ইউএনডিপি বাংলাদেশ এবং মনের বন্ধু এর যৌথ উদ্যোগে ‘আইসিটি অ্যান্ড মেন্টাল হেলথ’ গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমাদের সচেতন হওয়ার এবং অন্যকে সচেতন করার এখনই উপযুক্ত সময়। দেশব্যাপী এই বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেন্টরিংয়ের জন্য প্রশিক্ষক ও কাউন্সিলর নিয়োগ করতে হবে। পাশাপাশি তৃণমূল পর্যায়ের মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরি করতে আমরা কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিকেও প্রযুক্তির সহায়তায় কাউন্সেলিং প্রদানের ব্যবস্থা করতে পারি বলেও তিনি জানান।
ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ গুগল নিউজ অনুসরণ করুন
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার এর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মোঃ সামসুল আরেফিন, বিশ্ব ব্যাংকের সিনিয়র স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. বুশরা বিনতে আলম, ইউএনডিপির সিনিয়র গভর্নেন্স স্পেশালিস্ট শিলা তাসনিম হক, পিটিআইবির প্রোজেক্ট ম্যানেজার রবার্ট স্টোয়েলমান, এনআইএমএইচের প্রফেসর ড. হেলাল উদ্দিন আহমেদ, মনের বন্ধুর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তাওহিদা শিরোপা।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও সৃজনশীল নেতৃত্বে বিগত ১৫ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্পের সফল বাস্তবায়নের ফলে যেমন আমাদের জীবনে প্রযুক্তির প্রভাব ও প্রসার বৃদ্ধি পেয়েছে, একইসাথে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপরেও একটা বিরূপ প্রভাব তৈরি করছে। এই বিষয়ে যদি আমরা এখনই সতর্ক হয়ে ব্যবস্থা না নেই তাহলে স্মার্ট নাগরিক ও স্মার্ট সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্য ব্যাহত হবে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি টেকসই করতে সাংস্কৃতিক বিপ্লবের কথা; যেই সাংস্কৃতিক বিপ্লবের অর্থ হচ্ছে বৈষম্যমুক্ত, উদার, অসাম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল মানসিকতার প্রজন্ম তৈরি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট নাগরিক ও প্রজন্মের অর্থও হচ্ছে- উদ্ভাবনী, সৃজনশীল, প্রগতিশীল ও উদার মানসিকতার হওয়া।
পলক বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ডিজিটাল স্পেসটাকে নিরাপদ রাখা আমাদের দায়িত্ব। সেই লক্ষ্যে সাইবার বুলিং বন্ধ করা, নেগেটিভ কনটেন্ট সনাক্ত ও রিমোভ করা এবং মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে আমাদেরকে যৌথভাবে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া বা ডীপ ফেক এর মতো যে সকল ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান আমাদের তরুণ প্রজন্মের মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকির জন্য দায়ী তাদেরকে শনাক্ত করতে হবে এবং তাদের দায়বদ্ধতা তাদেরকে বুঝিয়ে দিতে হবে।