আজ ১০৪তম বছরে পদার্পণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘তরুণ প্রজন্মের দক্ষতা উন্নয়নে উচ্চশিক্ষা’।
সোমবার (১ জুলাই) বর্ণাঢ্য কর্মসূচির মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ১০৪তম দিবস উদযাপন করা হয়। এই উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কোনো কর্মসূচিতে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক সমিতি।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল সোমবার সকাল ১০টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের সামনে পায়রা চত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। কর্মসূচি অনুযায়ী, সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল হল ও হোস্টেল থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা শোভাযাত্রা সহকারে স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে সমবেত হবেন।
স্মৃতি চিরন্তন চত্বর থেকে সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অ্যালামনাই, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সহকারে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পায়রা চত্বরে গমন করবেন। সকাল ১০টায় সেখানে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা, বিশ্ববিদ্যালয় ও হলসমূহের পতাকা উত্তোলন, পায়রা, বেলুন ও ফেস্টুন উড়ানো, কেক কাটা হগবে। সংগীত বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে থাকবে বিশ্ববিদ্যালয়ের থিম সং ও উদ্বোধনী সংগীত।
ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ গুগল নিউজ অনুসরণ করুন
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সকাল সাড়ে ১০টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের প্রতিপাদ্য ‘তরুণ প্রজন্মের দক্ষতা উন্নয়নে উচ্চশিক্ষা’ বিষয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অ্যালামনাই ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করবেন। এর শুরুতে দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রকাশিত ‘স্মরণিকা’ ও ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইতিহাস ও ঐতিহ্য’ শীর্ষক গ্রন্থের দ্বিতীয় খণ্ডের মোড়ক উন্মোচন করা হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত নীলক্ষেত ও ফুলার রোড সংলগ্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ পথে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। এ সময় বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের জন্য সবাইকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষ্যে উপাচার্য ভবন, কার্জন হল, কলা ভবন ও ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও সড়কসমূহে আলোকসজ্জা করা হবে। এছাড়া বিভিন্ন প্রবেশপথে তোরণ নির্মাণ এবং রোড ডিভাইডার ও আইল্যান্ড সাজ-সজ্জা করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আজ ক্লাসসমূহ সকাল ৮টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তবে পরীক্ষাসমূহ যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে শিক্ষকরা ইতিমধ্যে পরীক্ষাও বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। ১৯২১ সালের ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছিল।
এদিকে সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কোনো কর্মসূচিতে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক সমিতি। রোববার (৩০ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের মূল ফটকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি উপলক্ষে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচি শুরুর আগে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা। সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে তারা এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।
অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বলেন, সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। দুঃখের বিষয়, এমন একটি দিনে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের রাজপথে থাকতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলেছি। তাকে জানিয়েছি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কোনো কর্মসূচিতে শিক্ষক সমিতি অংশ নেবে না।