একমাত্র বঙ্গবন্ধুর পক্ষেই সম্ভব ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দেওয়া: রেলমন্ত্রী

রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, “বঙ্গবন্ধু একমাত্র নেতা যাঁর পক্ষে সম্ভব ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দেওয়া, জনগণকে স্বাধীনতার স্বপক্ষে যুদ্ধে নামানো এবং সেই যুদ্ধে জয়লাভ করা।”

রোববার (২৩ জুন) দুপুরে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনাসভায় এ কথা বলেন তিনি।

রেলমন্ত্রী বলেন,”আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর আমাদের সবচেয়ে বড় সফলতা হলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা এই দেশকে স্বাধীন করেছি। স্বাধীনতা হলো আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। বঙ্গবন্ধুকে দেশি ও বিদেশি চক্রান্তকারীরা হত্যা করল। আমাদেরকে পিছিয়ে দেওয়া হলো। আর স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে চক্রান্ত শুরু হলো। কিন্তু চক্রান্ত বেশিদিন থাকে না, চক্রান্ত বেশি দিন টিকতে পারে না। বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতাকে অন্যতম শ্রেষ্ঠ বক্তব্য হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হলো। তারপর সমস্ত রকম ষড়যন্ত্র থেমে গেল।।”

তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধু আজ আমাদের মাঝে নাই। কিন্তু তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা পদ্মা সেতুর মতো একটা সেতু বানাতে পারছি।মেট্রোরেলের মতো একটা জনগণের উপকারী বাহন তৈরি করতে পারছি। আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আজকে আমরা সহজে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টার মধ্যে রাজবাড়ী থেকে ঢাকায় ট্রেনে পৌঁছাতে পারি।”

মন্ত্রী আরো বলেন,”রাজবাড়ীতে একটা রেলওয়ের কারখানা যেটা হবে দেশের সবচেয়ে বড় রেলের কারখানা। ১০৫ একর জমি নিয়ে এই কারখানা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।রেলের কারখানা হলে প্রায় এখানে ৫ হাজার লোক চাকরি করতে পারবে। আমাদের রাজবাড়ীর রেলস্টেশনের টেন্ডার হয়ে গেছে। এখানে সুন্দর দোতালা ভবন হবে। বিএনপির আমলে বিভিন্ন জায়গা থেকে রেললাইন উপড়ে ফেলা হয়েছিল। রেল লাইন তুলে বিক্রি করা হয়েছিল।কিন্তু সেখান থেকে আমরা রেলের অনেক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি।আমরা রাজবাড়ীকে রেলের শহর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবো। আজকে আমরা রাজবাড়ীকে একটা রেলওয়ে ডিভিশন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার কাজ করছি।

জিল্লুল হাকিম জানান” জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখন আপনাদের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। ঈদযাত্রায় রেল হচ্ছে মানুষের সবচেয়ে নিরাপদ পরিবহন। রোজার ঈদে এবং কোরবানির ঈদে প্রত্যেকটি মানুষ যারা ট্রেনে বাড়ি যেতে চেয়েছে তারা সহজে বাড়ি পৌঁছাতে পেরেছে। রাজবাড়ীতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা একটা শক্তিশালী আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করেছি। আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এমন একটা দল গঠন করব, এমন একটা আওয়ামী লীগ গঠন করব, যাদের নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র করার দুঃসাহস বিএনপি কেন, কেউ করবে না।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম এমপির সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ী ১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী, সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলীসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয় এবং জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

পরে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আনন্দ শোভাযাত্রা ও র‍্যালি করেন নেতাকর্মীরা। কয়েক হাজার নেতাকর্মীরা এ সময় র‍্যালিতে অংশগ্রহণ করে।

 

Recommended For You