চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালি থানার খানখানাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন হায়দারকে মৎস্যজীবিদের জন্য বরাদ্দকৃত ২৬ টন চাউল চুরির ঘটনায় হাতেনাতে ধরেছেন বাঁশখালির সাংসদ মজিবুর রহমান সিআইপি।
বুধবার (১২ জুন) সকাল ১০ টার দিকে ৩নং খানখানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে মৎস্যজীবিদের মাঝে চাউল বিতরণ কালে এই ঘটনা ঘটে।
এলাকা সুত্রে জানা যায়, মৎস্যজীবিদের জন্য বরাদ্দকৃত চাউল নয়- ছয় হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে বাঁশখালির সাংসদ মজিবুর রহমান সিআইপি স্ব-শরীরে ইউপি চত্বরে উপস্থিত হয়ে চাউল চুরির ঘটনা তদন্ত করেন। তদন্তে বেরিয়ে আসে চেয়ারম্যান জসিমের তলের বিড়াল।
৯ জুন (রবিবার) চাঁনপুর এলএসডি গোডাউন থেকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিপু চন্দ্র দাস সাক্ষরিত চালান মুলে ৫৬ টন চাউল রিসিভ করে চেয়ারম্যান জসিম। ১২ জুন চাউল বিতরণ কালে পাওয়া যায় ৩০ টন বাকী ২৬ টন চাউল লাপাত্তা। এই বিষয়ে চেয়ারম্যান জসিম ও সেক্রেটারি কোনরূপ সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেনি।
এই ঘটনায় এলাকার লোকজন উত্তেজিত হয়ে উঠেন। উপস্থিত উত্তেজিত জনতার উদ্দেশ্যে সাংসদ মুজিবুর রহমান সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান কালে এই চুরির ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আস্বস্ত করেন। তিনি জনতার উদ্দেশ্যে আরো বলেন, এই ব্যাপারে আপনারা এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি করবেন না।
এলাকা সুত্রে জানা গেছে, জসিম হায়দার চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে ইউনিয়নের জন্য বরাদ্দকৃত এল,জি,এস,পি, ১%, কাবিখা ও এক কালিন বরাদ্দের সব টাকা পকেটস্থ করেছে চেয়ারম্যান। পি আই ও কে ম্যানেজ করে ভুয়া প্রজেক্ট দেখিয়ে সমস্ত টাকা পকেটে ভরেছে চেয়ারম্যান জসিম।
এছাড়া জন্ম নিবন্ধন, জন্ম ও মৃত্যু সনদ, ওয়ারিশ সনদ সহ নানা সেবামূলক কার্যক্রমেও প্রয়োজনের অতিরিক্ত টাকা আদায় করছেন মর্মে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
নগদ টাকার বিনিময়ে সরকারি গভীর নলকূপও একক ব্যাক্তির কাছে বিক্রি করেছে এমন নজিরও রয়েছে। ইতিমধ্যে চাউল চুরির ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এই ব্যাপারে জানতে চেয়ারম্যান জসিম হায়দারের মুঠো ফোনে একাধিক ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।