ঝিনাইদহের শৈলকুপা থানায় হামলাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও স্থানীয়দের সংঘর্ষে কুষ্টিয়ায় চিকিৎসা নিতে আসা আহতদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
রবিবার (৯ জুন) সন্ধ্যা থেকে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পুলিশি পাহারায় ১২ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আহতদের মধ্যে চারজন গুলিবিদ্ধ। এ ছাড়া গুরুতর আহত অবস্থায় গুলিবিদ্ধ একজনকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যারা- ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানার ধাওড়া গ্রামের আব্দুল আজিজ (৬৩), আলী আকবর (১৭), জান্নাত হোসেন (২৬), মুহিম শিকদার (১৬), রাজিব (১৯), হারুন (৩৫), কুতুব উদ্দিন (২২), আ. ওহাব আলী (৫২), সাব্বির হোসেন (১৭), আলামিন (৩০), আকরাম হোসেন (৩৮) ও আব্দুস সালাম (৬৫)।
ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ গুগল নিউজ অনুসরণ করুন
জানা গেছে, বিকেলের দিকে একের পর এক আহত ব্যক্তি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে আসতে থাকেন। তাঁরা সবাই আঘাতপ্রাপ্ত ও রক্তাক্ত ছিল। ১৩ জনের মতো আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। কেউ জরুরি বিভাগে আবার কেউ ওয়ার্ডে ভর্তি ছিল। এর কিছুক্ষণ পরেই পুলিশ হাসপাতালে এসে তাদের ঘিরে রাখে। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ একজনকে চিকিৎসক ঢাকায় পাঠায়।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় ফিরোজ শিকদার নামের গুলিবিদ্ধ একজনকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে। বাকিদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে কতজন ভর্তি হয়েছেন এ বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেননি।
আরও পড়ুন: শৈলকুপায় থানা ঘেরাও করে ভাংচুর, পুলিশসহ আহত ৩০
জানা গেছে, রবিবার দুপুরের দিকে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় মোস্তাক শিকদার নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় তাঁর সমর্থেরা শৈলকুপা থানা ঘেরাও করে ভাঙচুর চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশও ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এতে হামলাকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে (২০–২৫)জন আহত হয়েছেন।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) পলাশ কান্তি নাথ জানান, শৈলকুপা থানায় ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আহতদের কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পুলিশি পাহারায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের আটক করা হয়েছে কিনা; এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আগে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেহেতু, এটা অন্য জেলার ঘটনা, সেহেতু আহতদের কেউ হামলার সঙ্গে জড়িত থাকলে তা তদন্ত করে নির্দেশ পেলে তাদের আটক করা হবে।