ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) একমাত্র আবৃত্তি বিষয়ক সংগঠন ‘আবৃত্তি আবৃত্তি’ কর্তৃক ‘রবীন্দ্র-নজরুল উৎসব’ শীর্ষক শিরোনামে কবিতা পাঠের আয়োজন করা হয়। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তীকে কেন্দ্র করে এ আয়োজন করা হয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়েনা চত্বরে এ কবিতা পাঠের উৎসব শুরু হয়। যেখানে ‘আবৃত্তি আবৃত্তি’ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সকল সদস্য রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের কবিতা পাঠ করেন। এছাড়াও ছিলো রবীন্দ্র সংগীত ও কোরাস।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ও ‘বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ’র সাধারণ সম্পাদক খান মাজহারুল হক লিপু, কণ্ঠবিথী মাগুরার সদস্য রিয়া। এছাড়াও সংগঠনের সকল সদস্য। পুরো অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন সূচনা ত্রিপুরা ও ইনসানুল ইমাম।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই ছিলো জাতীয় সংগীত। এরপর স্বাগত বক্তব্য রাখেন ‘আবৃত্তি আবৃত্তি’ এর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবু রায়হান খান রানা। এছাড়া পর্যায়ক্রমে একক ও যৌথ প্রযোজনায় ছিলো কবিতা পাঠ, গান ও ‘মুক্তির জাগরণ’ শীর্ষক কোরাস। খান মাজহারুল হক লিপু ভায়ের কবিতা ও কথার মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটে এ আয়োজনের।
এ বিষয়ে মাজহারুল হক লিপু বলেন, ‘অনেক বড় বড় মানুষের মাঝেও রবীন্দ্র নজরুল নিয়ে মতভেদ আছে। কিন্তু আমাদের মধ্যে এটা নেই। কবিতা পড়াটা হয়তো একটা পাগলামি, যেটা সকলে করতে পছন্দ করে না। আমার খুবই আনন্দ হয় যে, এখনও কবিতা পড়ার অনেক লোক আছে। রবীন্দ্র-নজরুল যেমন তাদের কর্ম দিয়ে বছরের পর বছর বেঁচে আছে আমাদের মনে, আমরাও আমাদের কর্ম, চিন্তা, চেতনা দিয়ে যেন স্মরণীয় হয়ে থাকতে পারি।’
সংগঠনটির সহসভাপতি দিপেন রায় বলেন, ‘আবৃত্তি আবৃত্তি, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংগঠন একটা পরিবারের মতো..দীর্ঘ এক মাস পরিশ্রমের ফল আজকের এই প্রোগ্রাম সংগঠনের সকল সদস্যের সাংগঠনিক কাজের মাধ্যমে আজ প্রোগ্রামটি সফল হয়েছে। আমি আশা করি এই সংগঠনটি এভাবে আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে।’
প্রসঙ্গত, ‘আসুন আমরা শুদ্ধতার চর্চা করি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ২০০৩ সালের ১৪ এপ্রিল ‘আবৃত্তি আবৃত্তি’ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। তখন থেকেই সংগঠনটি শুদ্ধ উচ্চারণ, আবৃত্তির কলাকৌশল, সংবাদ উপস্থাপনা ও সাংগঠনিক দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে আসছে। বর্তমানে এটি ‘বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ’-এর অন্তর্ভুক্ত সংগঠন হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।