পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে সকল সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ নির্যাতিত, নিপীড়িত, অবহেলিত, পশ্চাদপদতা সবকিছু বিবেচনা করেই কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে পার্বত্যবাসীর প্রতি তাঁর স্নেহ, ভালোবাসা ও চিন্তা চেতনার মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন বাস্তবায়ন করে চলেছেন।

প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে সকল সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, যখনই পার্বত্য চট্টগ্রামের বিষয়ে আলোচনা হয় তখনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে শুনেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং দেশে সকল সম্প্রদায়ের সহাবস্থান নিশ্চিত হয়েছে। তাই আলোচনার মাধ্যমেই শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নসহ নানাবিধ সমস্যা চিহ্নিত করে ধৈর্য সহকারে সকলকে এগিয়ে যেতে হবে।

সোমবার (২৭ মে) রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ এনেক্স ভবনে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের রজত জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে দুই দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রথম দিন অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি এসব কথা বলেন।

পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের নিপীড়িত, নির্যাতিত শোষিত বঞ্চিত মানুষের পাশে ছিলেন এবং তাদের মুক্তি ও কল্যাণের জন্য স্বপ্ন দেখেছিলেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সবসময় নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষের পাশে আছেন এবং দেশ গড়ার কাজে এগিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন বলেন, দীর্ঘ দুই দশকের ভাতৃঘাতি সংঘাত বন্ধ করতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সরকার এবং জনসংহতি সমিতির নেতৃবৃন্দের মধ্যে একটি আলোচনার পরিবেশ তৈরী করতে পেরেছিলেন বলেই পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি সম্পাদিত হয়।

সভায় বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ করার জন্য ষড়যন্ত্রকারীরা তৎকালীন সময়ে পাহাড়ে কালো পতাকা উড়ানো থেকে শুরু বিভিন্ন ধংসাত্মক কাজ করেছিল। শত বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা ও সাহসিকতার কারনে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি আশার আলো দেখে এবং বর্তমানে পাহাড়ের মানুষ চুক্তির সফলতা ভোগ করছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমার (সন্তু লারমা) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় এসময় অন্যান্যের মধ্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এমপি, পার্বত্য চট্টগ্রাম শরনার্থী বিষয়ক ট্রাস্কফোর্সের চেয়রাম্যান সুদত্ত চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড-এর চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা, সাবেক এমপি ঊষাতন তালুকদার, চাকমা সার্কেল চীফ ব্যরিস্টার রাজা দেবাশীষ রায়, খাগড়াছড়ি মং সার্কেল চীফ রাজা সাচিং প্রু চৌধুরী, মানবাধিকার কমিশনের সদস্য কংজরী চৌধুরী, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, বান্দরবান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মো: সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. জাহিদুল ইসলাম,পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ প্রতিষ্ঠার ২৫ বর্ষপূর্তি উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক গৌতম কুমার চাকমা, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজকর্মী শিশির চাকমা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন:

Recommended For You