ডলারের দাম বাড়লেও দেশে আমদানির ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি। তবে রপ্তানির ওপর প্রচুর প্রভাব পড়বে। এর ফলে রেমিট্যান্স আয় ও রপ্তানিমুখী শিল্প উপকৃত হবে বলে মনে করেন তিনি।
ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ গুগল নিউজ অনুসরণ করুন
বৃহস্পতিবার ইউএস ট্রেড শোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সাথে বিফ্রিংয়ে এসব কথা বলেন সালমান এফ রহমান এমপি। বলেন, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ডলারের দাম বাড়ানোর বিকল্প ছিলো না। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা বলেন, ডলারের দাম বাড়ায় রিজার্ভের ওপর চাপ কমে যাবে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা খুবই প্রয়োজন ছিলো। মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে আছে যা আমাদের কমানো দরকার। একই সাথে ডলারের দাম বাড়ায় দেশের অর্থনীতির ওপর কোনো চাপ পড়বে না। তার কারণ কৃষিখাতে দেশ অনেক ভালো করছে। খাদ্যে আমরা স্বয়ংসম্পন্ন হতে পেরেছি।
যাদের টিন আছে তাদের সবাইকে ট্যাক্সের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, যারা ট্যাক্স দিচ্ছে তাদের ওপর আরও ট্যাক্স চাপানো হচ্ছে। যাদের টিন আছে তাদের সবাইকে ট্যাক্সের আওতায় আনতে হবে। একই সাথে ট্যাক্স রেট কমিয়ে ট্যাক্স নেট বাড়ানো দরকার। বিশ্বের যেসকল দেশ ট্যাক্স রেট কমিয়েছে এবং ট্যাক্স নেট বাড়িয়েছে তাদেরই রাজস্ব বেড়েছে।
সব ব্যবসায়ীদের করের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উপজেলা এমনকি গ্রাম অঞ্চলেও অনেকে ভালো ভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন। তাদেরকেও ট্যাক্সের আওতায় আনতে হবে। বিশ্বের যেসব দেশ থেকে বেশি পরিমাণে আমদানি করা হয় সেইসব দেশের মুদ্রায় যদি ট্রেড করা হয় তাহলে ডলারের ওপর চাপ কমে যাবে বলেও মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর বিনিয়োগ উপদেষ্টা।