ঢাকা রাজধানীর মিরপুরের চাঞ্চল্যকর মেধাবী কলেজ ছাত্রী তামজিদা রহমান লাবিবা (১৬)কে কয়েক মাসেও উদ্ধার করতে পারেনি থানা পুলিশ। রহস্যজনকভাবে প্রধান আসামি সুজাহার ব্যাপারীর লম্পট নারী লোভী ছেলে সম্রাট ব্যাপারী সহ অজ্ঞাত সহযোগীরা রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ অনুসরণ করুন
আসামি লম্পট সম্রাটের গ্রামের বাড়ি দোহারের কাজীরচর এলাকায়। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটে গত ৫/১২/২৩ তারিখে মিরপুর ১০ নাম্বার এলাকায় । মেধাবী ছাত্রী লাবিবা মিরপুর গার্লস আইডিয়াল কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। মামলা সূত্রে জানা যায়, মিরপুরের নিজ বাসা থেকে তামজিদা রহমান লাবিবা প্রতিদিনের মতো মিরপুর গার্লস আইডিয়াল কলেজে যায়। কলেজের পাশে ওঁত পেতে থাকা লম্পট নারী লোভ সম্রাট বেপারী ও তার সঙ্ঘবদ্ধ অজ্ঞাত ৫-৭ জন উঠতি বয়সী যুবক। কলেজ ছাত্রী লাবিবাকে একা পেয়ে মুখ চেপে ধরে একটি প্রাইভেট কার যোগে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় নারী লোভী এ চক্র।
পরে লাবিবার পিতা মিজানুর রহমান মেয়ের অপহরণের খবর জানতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে ওঠে। দিকবেদিক বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে মিরপুর মডেল থানায় গিয়ে প্রথমে একটি অভিযোগ করেন। পরিশেষে সুজাহারের ছেলে লম্পট সম্রাট ব্যাপারী সহ তার সহযোগী দের বিরুদ্ধ গত ১৩/১২/২০২৩ তারিখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী) ২০২০এর ৭/৩০ ধারায় একটি মামলা রুজু করেন। মামলা নেয়ার দুই মাস অতিবাহিত হলেও মিরপুর মডেল থানা পুলিশ মামলার আসামি কিংবা মেধাবী ছাত্রী লাবিবাকে উদ্ধার করতে পারেনি।পরে মামলাটি মিরপুর জোনের ডিবি অফিসে হস্তান্তর করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মানস কুমার পোদ্দার ডিবি ডিসি মিরপুর জোনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কয়েক মাস অতিবাহিত হলেও আজ অবধি ভিকটিমকে উদ্ধার এমনকি কোন আসামী আটক হয়নি। এব্যাপারে ডিবি ডিসি মানস কুমার পোদ্দার এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন কলেজ ছাত্রী লাবিবা (১৬)কে উদ্ধার করতে প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।
এদিকে লাবিবার পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে জীবননাশের হুমকি দিয়ে আসছে লম্পট সম্রাট ও তার সহযোগীরা। মেধাবী ছাত্রী লাবিবার বাবা-মা বলেন আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমাদের একমাত্র মেয়ে লাবিবাকে উদ্ধার ও আসামিদের আটক করতে প্রয়োজনে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করব।