বাড়ি ঘর নির্মাণ বা জমি ভরাটের জন্য কন্ট্রাক্ট নিয়ে ৯ থেকে ১২ শ টাকার মধ্যে ডাম্পার সিন্ডিকেটের সদস্যরা পাহাড় কেটে মাটি পাচার করছে যা পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করছে। পাহাড় কেটে মাটি পাচারকারি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি অভিযান অব্যাহত রাখায় সংক্ষুদ্ধ হয়ে সিন্ডিকেটের প্রধানের নির্দেশে পূর্ব পরিকল্পনা মতে ডাম্পার ট্রাক চাপায় বনবিট কর্মকর্তা সাজ্জাদকে হত্যা করা হয় বলে দাবি র্যাবের।
সোমবার পৃথক অভিযান চালিয়ে বিট কর্মকর্তা হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী মোঃ কামাল’কে চট্টগ্রাম সীতাকুন্ড হতে এবং হত্যার সহযোগী হেলাল’কে উখিয়া কোটবাজার এলাকা থেকে গ্রেফতারের পর মঙ্গলবার দুপুরে র্যাব ১৫ কক্সবাজার সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন এই তথ্য জানান র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।
র্যাবের দাবি, কামাল ও হেলালকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে মাটি পাচারকারি সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত ও বিট কর্মকর্তা হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, হরিণমারা এলাকার শাহ আলম এর ছেলে মোঃ কামাল উদ্দিন (৩৯), তুতুরবিল এলাকার নূর আলম মাইজ্জার ছেলে হেলাল উদ্দিন (২৭)।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন বলে জানায় র্যাব।
উল্লেখ্য, গত ৩১ মার্চ মধ্যরাতে উখিয়ায় সংরক্ষিত বনের পাহাড় কেটে অভিযানে গিয়ে ‘মাটি পাচারকারিদের ড্রাম্প ট্রাকের চাপায়’ বনবিট কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামান (৩০) নিহত হন। তিনি কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বনবিটের বিট কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন এবং মুন্সিগঞ্জ জেলার গজরিয়া উপজেলার মোহাম্মদ শাহজাহানের ছেলে। এ ঘটনায় আহত হন বনরক্ষী মোহাম্মদ আলী (২৭), তিনি টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ঝিমংখালী এলাকার আবুল মঞ্জুরের ছেলে।
এর আগে এই মামলার ৫ নম্বর আসামি ছৈয়দ করিম এবং প্রধান আসামি ডাম্পার চালক বাপ্পীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনার পর দিন ১০ জনের নাম উল্লেখ করে ১৫ জনের বিরুদ্ধে উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম বাদী হয়ে উখিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন।