টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও পাঁচজন সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। রোববার (১৪ এপ্রিল) রাত আনুমানিক ১১টার দিকে টেকনাফের খারাংখালি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে তারা টেকনাফে প্রবেশ করেন বলে সোমবার নিশ্চিত করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
এর আগে সকালে আসেন আরও নয়জন। রাখাইনে আরাকান আর্মি ও দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘাত চলছে। এ কারণে সীমান্তের ওপার থেকে টেকনাফ সীমান্তে থেমে থেমে ভেসে আসে মর্টারশেল ও ভারী গোলার বিকট শব্দ।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, রোববার সকালে মিয়ানমার বিজিপির নয়জন সদস্য টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করেন। একই দিন রাতে আরও পাঁচজন বিজিপি সদস্য খারাংখালি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে ঢোকেন। তাদের নিরস্ত্র করে বিজিবির হেফাজতে রাখা হয়েছে।
গত ২ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তের ওপারে আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করে। এর জেরে গত ১১ মার্চ নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে আসেন মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৭৯ সদস্য। তারাও নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি ব্যাটালিয়নে রয়েছেন। তাদের মিয়ানমারের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
৪ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসেন ৩৩০ জন। তাদের মধ্যে ৩০২ জন বিজিপি সদস্য, ৪ জন বিজিপি পরিবারের সদস্য, দুজন সেনাসদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য এবং চারজন বেসামরিক নাগরিক ছিলেন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত পাঠানো হয়।