বাগেরহাটে আনসার ও ভিডিপি সদস্যকে পাকা ঘর তৈরী করা নিয়ে নানা অনিয়ম ও দূর্নিতীর অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, আনসার ও ভিডিপির মহা পরিচালক এর নির্দেশে দেশের ৬৪ টি জেলায় ৩লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা ব্যয়ে দুই কক্ষ বিশিষ্ট পাকা টিনশেড ঘর তৈরৗ করে দেওয়ার নিদের্শনা দেন।
বাগেরহাট জেলায় তার ই একটি ঘর পাওয়ার জন্য মোড়েলঞ্জ উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের ফিরোজ সরদার নির্বাচিত হয়। এই ঘর নির্মানের দায়িত্ব পান মোড়েলগঞ্জ উপজেলা আনছার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম। এই ঘর তৈরীতে তার বিরুদ্বে টাকা আত্মস্বাৎ সহ নান অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে ঘর পাওয়া ফিরোজ সরদার মুঠোফোনে বলেন, জেলা জেলা আনসার ও ভিডিপি অফিস থেকে আমাকে বলেছে ঘর তৈরীতে আপনার কোন টাকা পয়সা লাগবে না আপনি শুধু ঘরে বসবাস করবেন। কিন্তু ঘর তৈরীর শুরু করে উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা আমাকে দিয়ে জানালা গ্রীল ও দরজার জন্য ২৬ হাজার টাকা,বাতরুমের রিং বসানোর জন্য ১২শ টাকা , পিরোজপুর থেকে ইট- বালু আনা খরচ বাবদ ৩ হাজার টাকা দিয়েছি। এরকম বিভিন্ন অযুহাতে আমার কাছ থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, আমার এখানে ৮ হাজার ইট আনার কথা ছিল উপজেলা কর্মকর্তা এনেছে ৬ হাজার, সিমেন্ট আনার কথা ছিল ৭৪ ব্যাগ এখানে আনা হয়েছে ৩০ ব্যাগ, এ রকম বিভিন্ন মালামাল কম আনছে। অথচ জেলা অফিসা বলেছিল আমার কোন খরচ হবেনা। এবিষয় কথা বলতে গেলে কাজের মিস্ত্রী ও উপজেলা কর্মকর্তা হুমকী দিয়েছে এসব বিষয় কথা বললে ঘর অন্যজায়গায় নিয়ে যাব।
ফিরোজ সরদারের স্ত্রী সাহানাজ পারভিন বলেন, এপর্যন্ত আমার ঘরের পিছনে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে রিং বসানো লাগবে সে টাকা আমার দেওয়া লাগবে, টিউবয়েলের গোড়া পোস্তা করা ,কলের পানি সরার জন্য পাইপ লাগবে সেটা আমার কিনে দেওয়া লাগবে ভিতে মাত্র এক লাসা ইট দিয়েছে এতে আমার ঘন দূর্বল হয়েছে, ঘরের আড়া রুয়া এক ই সাইজের কেটেছে আড়া মজবুত দেয়নাই তারা আমার এই ঘর তৈরী কাজে অনিয়ম করেছে। আমাকে হুমকি দেয় আপনি এ বিষয়ে যদি বাড়াবাড়ী করেন অন্যকে ঘর দিয়ে দিব বা এ অবস্থায় হ্যন্ডওভার করে দিব।
এবিষয় এলাকার জাকির হোসেন সরদার বলেন, এখানে নিন্ম মানের কাজ হয়েছে নিচেয় এক লাসা ইট দিয়েছে কোন রড ব্যাবহার করেনি, ঘরের চালের রুয়োচটা নিন্মমানের দিয়েছে, রুয়া দিয়ে আড়া দিযেছে। ৮টায় একটা সিমেন্ট দিয়েছে। দেওয়ার কথা ৫ টায় ১ টা সিমেন্ট। এলাকার জাহিদ শেখ জানান, এর চেয়ে নিম্মমানের কাজ কোথাও দেখিনি ফুলো চাম্বল গাছ দিয়ে রুয়োচটা দিয়েছে, ভিতে ডিফ দিয়েছে মাত্র ৫ ইঞ্চি আমরা এলাকাবাসী কথাবলতে গেলে হুমকী দেয় কাজ ফেলেরেখে চলে যাব।
স্থানীয় মামুন শেখ বলেন, আনসার ভিডিপির যে কাজ করছে এটা খুবই নিন্মমানের একাজ তদন্ত করে দেখা উচিত।
এবিষয় মোড়েলগঞ্জ উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা এখানে কোন অনিয়ম বা দূনির্তী করিনি। আমিকোন টাকা ফিরোজের কাছ থেকে নেয়নি। আমার টাকা ফিরোজের স্ত্রীর কাছে রাখা ছিল সেই টাকা নিয়েছি।
এ বিষয়ে কাজের সিডিউল দেখতে চাইলে সাংবাদিকদের সিডিউল দেখাতে পারেনি আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম।
বাগেরহাট জেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা কমান্ডর মোঃ মাজহারুল আসলাম বলেন,মহা পরিচালকের পক্ষ থেকে সারা বাংলাদেশে অসহায় দুঃস্থ গরিব আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের মাঝে ঘর প্রদান করা হচ্ছে। বাগেরহাটে ও এমন এটা ঘর করা হচ্ছে। ঘর তৈরীর টাকা পয়সা সব মেড়েলগঞ্জ উপজেলা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম কে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখবো। এখানে অনিয়মের কোন সুযোগ নেই। তবে তৈরীর সিডিউল দেখতে চাইলে তিনি বলেন আমার কাছে ( জেলা অফিসে) কোন কাগজ নাই সব মোড়েলগঞ্জ উপজেলা কর্মকর্তার কাছে আছে। আপনারা চাইলে শফিকের কাছ থেকে দেখতে পারেন। তবে ৩ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা বরাদ্ধ রয়েছে।