বাজারে পৌরসভার মূল্য নির্ধারণ : লাপাত্তা মাংস ব্যবসায়ীরা

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে গরুর মাংসের দাম কেজিপ্রতি ৬৫০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছেন রামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটোয়ারী। তার এই সিদ্ধান্তের পর বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। সোমবার (১২ মার্চ) বিকেলে রামগঞ্জ ও সোনাপুর বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির নেতৃবৃন্দসহ মাংস ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ প্রস্তাব রাখেন পৌর মেয়র।
রামগঞ্জ পৌর মেয়র এ সময় প্রতি কেজিতে দেড়শ গ্রাম হাঁড়, পঞ্চাশ গ্রাম চর্বি ও আটশ গ্রাম মাংস রাখার অনুরোধ করেন। এ প্রস্তাবের পরদিন মঙ্গলবার ও আজ বুধবার সকালে ক্রেতারা রামগঞ্জ শহরের কয়েকটি মাংসের দোকানে গিয়েও মাংস কিনতে পারেননি।
আবদুস সালাম নামে এক ক্রেতা বলেন, ইফতারের পর মেহমান আসবে। কিন্তু বাজারে এসে দেখি সবকটি গরুর মাংসের দোকান খালি। ব্যবসায়ীরা দোকানে বসে থাকলেও তাদের কাছে কোনো মাংস নেই। রামগঞ্জ সবজি ও মাছ বাজার, সোনাপুর বাজার, পুরাতন সবজির বাজার এলাকায় কোথাও গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে না।
তবে রামগঞ্জ সবজি বাজারের সামনের মাংস ব্যবসায়ী মুছুয়া কসাই (জুম্মন মিয়া) জানান, হাঁড়সহ গরুর মাংস কেজিপ্রতি বিক্রি করেছি ৭৫০ টাকা। হাঁড় ছাড়া সাড়ে ৮শ বা ৯শ টাকার মতো পড়ে কেজিপ্রতি। আমাদের কী করার আছে। আমরা পাইকারি কিনে খুচরা বিক্রি করি।
বাজারের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেশি হওয়ায় রামগঞ্জ ও সোনাপুর বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির নেতাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন পৌর মেয়র। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পৌর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর আলমগীর কবির, রামগঞ্জ বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন সেলিম, সোনাপুর বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি লিয়াকত হোসেন পাটোয়ারি, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সবজি ব্যবসায়ী মো. সেলিম মিয়া, মাংস ব্যবসায়ী নজির আহম্মেদ ও জুম্মন কসাইসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা।
রামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটোয়ারী  বলেন , মাংস ব্যাবসায়ীরা সিন্ডিকেট করেছে। দাম কোন ভাবেই কমানোর সম্ভাবনা নেই।
শেয়ার করুন:

Recommended For You