ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর তাণ্ডবে প্রায় ৩১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকাজুড়ে আক্রমণ আরও জোরদার করেছে।
ইসরায়েলি বাহিনী নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়ে নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ১৩ জনকে হত্যা করেছে। শুধু তাই নয়, উত্তর গাজায় অপুষ্টিতে এক শিশু এবং এক তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। ফলে সেখানে অনাহারে এখন পর্যন্ত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া রাফা শহরের একটি আবাসিক টাওয়ার ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত সেখানে কমপক্ষে ৩০ হাজার ৯৬০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৭২ হাজার ৫২৪ জন। সেখানে ইসরায়েলি তাণ্ডবের কারণে খাবার এবং পানির তীব্র সংকট তৈরি হয়েছে।
এদিকে রমজান মাসকে সামনে রেখে এক বার্তায় হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ গাজার ওপর এই জঘন্য যুদ্ধ বন্ধ করতে ইসরায়েল এবং এর মিত্র বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। অপরদিকে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ তহবিল পুনরুদ্ধার করেছে কানাডা এবং সুইডেন। ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ বলছে, হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। এরপরই গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল। হামাসের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযান চালানো হচ্ছে। এমনকি হামাসকে নির্মূলের অজুহাতে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর প্রতিদিন হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।