নরসিংদীর রায়পুরা গলায় ফাঁস দিয়ে নারী পুরুষ দুজন আত্নহত্যা করেছেন। তারা হলেন উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নে মো: সুজন মিয়া (৩০) নামে এক যুবক ও ফরিদা বেগম (৩৫) নামে এক যুবতী নারী। ঘটনায় পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন মির্জানগর ইউপি চেয়ারম্যান বশির উদ্দিন সরকার রিপন ও থানা পুলিশ। স্থানীয়দের ধারনা তাদের দুজনের মধ্যে গোপনে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে বিষয়টি নিশ্চিত নয়।নিহত সুজন মিয়া ওই ইউনিয়নের খানাবাড়ি এলাকার মৃত আহাম্মেদ আলীর ছেলে অপরদিকে নিহত ফরিদা বেগম একই ইউনিয়নের বাঙালীনগর এলাকার বীরমুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম এর মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সুজন মিয়া রাতে তার নিজ দোকানে মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সকালে সুজন দোকানের সাটার খুলতে দেরী হওয়ায় তার স্বজনরা এসে দোকানের সাটার ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখতে পায় সুজন সিলিং এর সাথে ঝুলে আছে। পরে পুলিশ এসে তার মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত ফরিদা বেগম সকালে নিজ বাড়ির বসত ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করে। রুমের দরজা অনেক সময় যাবত বন্ধ থাকার পর ডাকাডাকি করে না খুললে দরজা ভেঙ্গে ভিতরে গিয়ে ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায়।
মির্জানগর ইউপি চেয়ারম্যান বশির উদ্দিন সরকার রিপন বলেন, দুইজন আত্মহত্যা করেছে। তাদের মধ্যে একজন বাঙালীনগর ও আরেকজন মির্জানগর এলাকার। একজন রাতে আত্মহত্যা করেছে এবং আরেকজন সকালে আত্মহত্যা করেছে বলে জানান তিনি। তবে কি কারনে এই আত্মহত্যা ঘটেছে তা জানা যায়নি।
এ ব্যাপারে রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাফায়াত হোসেন পলাশ জানান, মির্জানগরে দুইজনের আত্মহত্যার ব্যাপারে খবর পেয়েছি। দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কারো পক্ষ থেকে থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ হয়নি।
