
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম এবং সেক্রেটারি ডা. মুহাম্মদ শহীদুল ইসলাম নূরানি ও কওমী মাদরাসা নিয়ে সরকারের চক্রান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, শিক্ষা কারিকুলামের অসঙ্গতি নিয়ে কোন পদক্ষেপ না নিয়ে কওমী মাদরাসা বন্ধের কিংবা নিয়ন্ত্রণের ষড়যন্ত্র মেনে নেওয়া যায় না। ট্রান্সজেন্ডারের নামে সমকামিতাকে প্রমোট করলে স্কুল কলেজে শিক্ষার্থী কমবেই।
বুধবার (০৬ মার্চ) এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, শিক্ষা সিলেবাস নিয়ে অভিভাবকগণ চরম হতাশা হয়ে মাদরাসা শিক্ষার দিকে ধাবিত হচ্ছেন। শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী স্কুলগুলোতে ভর্তি সময়কালীন নূরানী মাদরাসাগুলোর ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত রাখা আপত্তিকর ও জঘন্য অপপ্রয়াস।
নেতৃদ্বয় অরও বলেন, এদেশের কওমি মাদরাসাগুলো মুসলমান দানশীলদের অর্থায়নে চলে। কওমি মাদরাসার শিক্ষা সিলেবাস ও পরিচালনা নিয়ে নাক গলানোর অধিকার কারো নেই। ধর্মপ্রিয় মানুষ স্বেচ্ছায় তাদের সন্তানদের জেনে বুঝেই মাদরাসায় ভর্তি করে থাকেন।
স্কুল-কলেজের পাঠ্য পুস্তক থেকে ধর্মীয় শিক্ষা বাদ দেয়ার কারণে অভিভাবকগণ বর্তমান সিলেবাসে নাখোশ। স্কুলে ছাত্র-ছাত্রী বৃদ্ধি করতে হলে পাঠ্যপুস্তকে ধর্মীয় শিক্ষা পুনঃবহালের বিকল্প নেই। ধর্মীয় বোধ-বিশ্বাসের সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই এ সকল মাদরাসায় শিক্ষার্থী সংখ্যা বাড়ছে এবং স্কুলে ধর্মশিক্ষা সঙ্কুচিত হওয়ায় তা কমছে। একজন দায়িত্বশীল মন্ত্রীর কাছ থেকে জাতি এমন বক্তব্য প্রত্যাশা করে না।