বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নতুন করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করবে বলে মন্তব্য করেছেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান। শনিবার (০২ মার্চ) নেতৃদ্বয় এ কথা বলেন।
এক বিবৃতিতে তারা বলেন, উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির কথা বলে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সরকারের ভুল নীতি ও দুর্নীতির কারণে বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে গেছে। এর দায় সাধারণ জনগণ নেবে না। তারা বলেন, আমরা অনেক দিন ধরেই বলে আসছিলাম যে, দেশের অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে বিদ্যুতের প্রাথমিক জ্বালানি (গ্যাস ও কয়লা) সংগ্রহের জন্য বিনিয়োগ বাড়িয়ে কম খরচের বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপন করা। সরকারের ভুল নীতির কারণেই বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে গেছে। আর এখন বৈদেশিক ঋণের শর্ত পূরণ করতে ভর্তুকি প্রত্যাহারের নামে জনগণের কাঁধে এই মূল্যবৃদ্ধির বোঝা চাপানো হচ্ছে।
নেতৃদ্বয় বলেন, দেশের প্রখ্যাত জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের মতামত, দাম না বাড়িয়ে বরং দক্ষ ব্যবস্থাপনার ও সঠিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ কমানো সম্ভব। রেন্টাল, কুইক রেন্টাল এখনো বন্ধ করা হয়নি। বিদ্যুৎ খাতের দায়মুক্তি আইন বাতিল করা হয়নি। অপ্রয়োজনীয় বিদ্যুৎকেন্দ্রে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে হাজার হাজার কোটি টাকার বোঝা জনগণের কাঁধেই চাপানো হচ্ছে। বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা থেকে সরে আসার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
তারা বলেন, সাধারণ মানুষের আয় বাড়েনি, অথচ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কষাঘাতে জনজীবন অতিষ্ঠ। এরপর বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি হলে বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন খরচ বাড়াবে। তারাও দাম বাড়িয়ে জনগণের কাঁধে ওই উৎপাদিত পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির বোঝা চাপাবে।
