ফুটপাতে চা বিক্রি করে চলে শান্ত’র সংসার

ধোঁয়ায় ওড়ানো গরম পানি, কাপে টুং টাং শব্দে চা বানিয়ে দিচ্ছেন বিভিন্ন জনের হাতে। চাহিদামতো অন্য জিনিসপত্রও তুলে দিতে ভুল হচ্ছে না একটুও। এভাবেই সকাল গড়িয়ে রাত। বিরতিহীন চলে চা বেচাকেনা।

বলছি কিশোরগঞ্জ শহরের প্রানকেন্দ্র ইসলামিয়া সুপার মার্কেট চত্বরের চা দোকানি শান্তর কথা।শান্তর দুকানের সামনের অংশে কাগজে লেখা ‘আসেন চা খাই,প্রেম হলে হোক,না হলে নাই’। যা দেখে অনেকেই চা খেতে চলে আসে তার দোকানে। প্রতিদিন সকাল থেকেই দোকান খোলে শান্ত।বিভিন্ন প্রকারের চা বিক্রি চলে রাত পর্যন্ত। দোকানের সামনে রাখা টোলে ক্রেতাদের বসার ব্যবস্থা। শান্ত কখনো চা তৈরিতে ব্যস্ত,আবার ধোয়া-মোছা।

এভাবে সময় গড়িয়ে সকালের পূর্ব আকাশের সূর্যটা পশ্চিমে ডুবে। তবে দোকান বন্ধ করতে করতে রাত বাজে ১২ টা। কোন দিন দুপুরে তার বাবা দোকানে বসে সময় দেয়। সেই সময় দুপুরের খাওয়া-দাওয়া সেরে নেয় শান্ত। এভাবেই দিন-রাত কাটে তার।শান্ত জানান,সকাল থেকে শুরু হয়ে রাত কখনো ১১টা বা ১২ টা পর্যন্ত খোলা থাকে দোকান।সারাদিনে ২০০ থেকে ২৫০ কাপ চা বিক্রি করা যায়। এতে ১ হাজার দেড় হাজার টাকা আয় হয়।বাবা মা ও ভাইদের নিয়ে তার এ চা দোকানের আয় দিয়ে কোনরকমে চলছে সংসার।

শান্তর এমন কাজের প্রশংসা করেছেন এসব দোকানের ক্রেতা ও পাশের দোকানিরা। মেহেদি হাসান সাজ্জাদ নামে এক স্থানীয় বলেন,‘শান্ত অনেক ভাল চা বানায়। শান্তর মত ক্ষুদ্র চা বিক্রেতারা যদি সামাজিক নিরাপত্তার পাশাপাশি ব্যাংক ঋণ বা অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা পেত,তবে তার জীবিকা নির্বাহ সহজ হবে। উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় ধরনের ভূমিকা পালন করবে’।

শেয়ার করুন:

Recommended For You