ওয়ার্ল্ড গ্লোবালে সংবাদ প্রকাশের পর আলোচিত লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা বন কর্মকর্তাসহ দুই কর্মচারীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর জেলা বন কর্মকর্তা বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তাদের তিনজনের বিরুদ্ধে মহাসড়কে পরিবহনে চাঁদাবাজির ঘটনা তদন্তে সত্যতা পাওয়া যায়। এতে বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নোয়াখালী বিভাগীয় কার্যালয়ে তাদের প্রত্যাহার করা হয়। রোববার থেকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রামগতি উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. বাসেদ হোসেনকে। নোয়াখালী কার্যালয়ে প্রত্যাহারকৃতরা হলেন- রামগঞ্জ উপজেলা বন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, কর্মচারী সাইফুল ইসলাম (নৌকা চালক) ও মো. রুহুল আমিন (বনপ্রহরী)।
লক্ষ্মীপুর জেলা বন কর্মকর্তা ফিরোজ আলম জানান, রামগঞ্জ উপজেলা বন কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে সড়কে চাঁদাবাজির রিপোর্টটির সত্যতা পেয়েছি। বন কর্মকর্তাসহ দুই কর্মচারীকে নোয়াখালী বিভাগীয় কার্যালয়ে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তদন্ত চলমান রয়েছে। অধিদপ্তর থেকে আরও ব্যবস্থা নিবে। আপাতত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন রামগতি উপজেলা কর্মকর্তা বাসেদ।
প্রসঙ্গত, গত তিন মাস ধরে রামগঞ্জ উপজেলা বন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান তার কর্মচারী সাইফুল ইসলামকে দিয়ে রায়পুর-রামগঞ্জ মহাসড়কের পদ্মা বাজারে প্রতিদিন ২১-২৫টি গাছ বহনকারী ট্রলি ও ট্রাক থেকে ৫০০-৭০০ করে টাকা তুলতেন। এ নিয়ে রায়পুর ও রামগঞ্জের করাতকল মালিক ও লাকড়ি ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ ছাড়াও লাইসেন্স না করায় সেই বন কর্মকর্তা হুমকি দিয়ে রামগঞ্জ শহরের সড়কের পাশে লাকড়ি ব্যবসায়ী মনিরের কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা, তার পাশের লাকড়ি ব্যবসায়ী জসিমের কাছ থেকে ৮ হাজার টাকা, কাটাখালির করাতকল মালিক থেকে ২০ হাজার টাকা, দিঘিরপাড়ের করাতকল মালিক সেলিম থেকে ১০ হাজার টাকা আদায় করেন।
উল্লেখ্য, ২১ ফেব্রুয়ারি ‘মহাসড়কে বন কর্মকর্তার চাঁদাবাজি’ শিরোনামে সংবাদটি ডব্লিওজি অনলাইনে প্রকাশিত হলে তোলপাড় শুরু হয়। এতে টনক নড়ে জেলা প্রশাসন ও বন অধিদপ্তরের। সংবাদ প্রকাশের পরই অধিদপ্তর দুই কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে জেলা বন কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেন। বন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান প্রায় তিন মাস আগে রাঙ্গামাটি জেলা থেকে বদলি হয়ে রামগঞ্জ উপজেলায় যোগদান করেন।