১১১ দিন কারাভোগের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস মুক্তি পেয়েছেন। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সন্ধ্যা ৭টার আগে কারামুক্ত হন তিনি। জেল থেকে বের হয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের মির্জা আব্বাস বলেন, আমাদের গণতন্ত্র মুক্তির আন্দোলন চলবে। জেলে অনেক কর্মী এখনও বন্দি। তাদেরও মুক্তির ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ পানি ছাড়া যেমন গাছ বাঁচে না তেমনি কর্মী ছাড়া একটি দল বা সংগঠন চলতে পারে না। জেলে তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। আমি সরকারকে আহ্বান জানানো, আমাদের নেতাকর্মীদের ভালো চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন।
এর আগে আজ ঢাকা রেলওয়ে থানার এক মামলায় মির্জা আব্বাসের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। ঢাকার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুলহাস উদ্দিন শুনানি শেষে দশ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন। ফলে গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে হওয়া ১১ মামলার সবগুলোতে জামিন পেলেন তিনি।
মির্জা আব্বাসের আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরী জানান, সবক’টি মামলায় জামিন হওয়ার পর বিকেলে জামিননামা কারাগারে পোঁছানোর পরেই মির্জা আব্বাস মুক্তি পান।
কারাগারে মুক্তির সময়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাসের সহধর্মিনী আফরোজা আব্বাস ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।