কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পিতার মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে ছেলের আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। (১০ ফেব্রুয়ারি) শনিবার রাতে পৌর শহরের কালিপুর এলাকায় এ ঘঠনা ঘটে। ফিরোজ মিয়া(৪৫) মৃত জালাল মিয়ার ছেলে আর ছেলে রানা আহম্মেদ (২৬) ফিরোজ মিয়ার ছেলে।তারা পৌর শহরের কালিপুর দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা। ফিরোজ মিয়া এলাকার মুদি দোকানদার ও রানা ছালা বস্তার কাজ করতো।
নিহতের আত্মীয় ও প্রতিবেশী রোমান জানায়,, ফিরোজ মিয়া ও তার স্ত্রী প্রায়ই টুকিটাকি ঘটনা নিয়ে ঝগড়া বিবাদ করতো। এসব নিয়ে ছেলে রানা দুজনেরই ঝগড়া মামাতো। এই নিয়ে শনিবার দিনও একই রকম ঘটনা ঘটলো। তারা কথা তর্ক-বিতর্ক করছে, ছেলে তাদেরকে এই সব থামানোর কথা বলায় বাবা রাগ করে দোকানে চলে যায়। দোকানে যাওয়ার ১০-২০ মিনিট পরে বাবা ফিরোজ মিয়া হঠাৎ করে বুকে হাত দিয়ে চেয়ার থেকে নিচে পড়ে যায়। পরে এলাকার লোকজন তাকে স্থানীয় হাসপাতাল নিয়ে গেলে ডাক্তার বলেন উনি হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মারা যায়।
এদিকে রানা আহম্মেদ তারা বাবার মৃত্যুর কথা শুনে শোক সইতে না পেরে ভৈরব বাজার থেকে কিটনাশক বিষ কিনে লঞ্চঘাট এলাকায় নদীর পারে বসে সকলের অগোচরে রাত সাড়ে ৭টায় সময় বিষপান করে।
পরে লোকজনের সংবাদের মাধ্যমে তার পরিবারের লোকজনসহ তার বাড়ির বন্ধু শাকিল জানতে পেরে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হইয়া রানা আহম্মেদকে চিকিৎসার জন্য ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া যায়। পরে রানা আহম্মেদ এর অবস্থার অবনতি হইলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাহাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পার্শ্ববর্তী উপজেলা বাজিতপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়া গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কর্তব্যরত ডাক্তার, রানা আহম্মেদ (২২) কে মৃত বলিয়া ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.সফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত হয়েছিল। জানতে পারি ফিরোজ মিয়া হৃদরোগে ও রানা আহম্মেদ বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। আর আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।