গুচ্ছভুক্ত হয়েই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করতে নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন। বৃহস্পতিবার (০৮ ফেব্রুয়ারী) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্টের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগণের সঙ্গে কমিশনের গত ১৪ জানুয়ারি এক সভায় গুচ্ছ পদ্ধতি একটি প্রমাণিত সফল পদ্ধতি।
২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম শুরু করার নিমিত্তে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপস্থিতিতে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যায়সমূহের ভর্তি কমিটির একাধিক সভা ইতিমধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। গুচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতিতে থাকছে না ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়’ শিরোনামে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ কমিশনের দৃষ্টিতে আসায় বিষয়টি নিয়ে কমিশন হতে গুচ্ছভুক্ত ভর্তি কমিটির আহবায়কের সাথে আলাপ করা হলে তিনি বিষয়টি অবহিত নন বলে জানান।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ জন শিক্ষক প্রতিনিধির সঙ্গে কমিশন কর্তৃপক্ষ ৮ ফেব্রুয়ারি এক মতবিনিময় সভার আহবান করে।পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ জন শিক্ষক প্রতিনিধির স্বাক্ষরিত পত্রে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত না হতে পারার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে কমিশনকে অবহিত করা হয়। যেটি কমিশনের নিকট খুবই অনাকাঙ্খিত।
গত ১৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভার পর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপস্থিতিতে জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যায়সমূহের ভর্তি কমিটির একাধিক সভায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে, যা এই পর্যায়ে পরিবর্তনের সুযোগ নেই। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে কমিশন কর্তৃপক্ষের বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
এমতাবস্থায়, গত ১৪ জানুয়ারি কমিশনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে গুচ্ছভুক্ত হয়ে পূর্বের তিনটি ভর্তি পরীক্ষার ধারাবাহিকায় গুচ্ছের আওতায় ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, শিক্ষক সমিতি সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত হয়েছে ইবি গুচ্ছে থাকবে না। তারপর একাডেমিক কাউন্সিলেও গুচ্ছ থেকে বের হয়ে আসার সিদ্ধান্ত হয়। এবং আমরা ইতিমধ্যে বের হয়ে গেছি। এখন ইউজিসি চিঠিতে বলছে গুচ্ছ থেকে বের হওয়ার সুযোগ নেই। সেইক্ষেত্রে শিক্ষক সমিতি সাধারণ সভা করে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত করা হবে।