বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, মিয়ানমারের ২৬৪ বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ও সেনাসদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। আমরা ধৈর্য ধারণ করে মানবিক দিক থেকে আন্তর্জাতিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করছি।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু ও ঘুমধুম সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। বিজিবির মহাপরিচালক জানান, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে সামরিক জান্তা বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর তুমুল লড়াই চলছে। যা দেশটির অভ্যন্তরীণ সমস্যা। তবে ওই সংঘর্ষের মধ্যে মিয়ানমার থেকে আসা গুলিতে বাংলাদেশিরাও আহত হয়েছেন।
তিনি জানান, গত সোমবার ঘুমধুম সীমান্তের জলপাইতলীতে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে দুজন নিহত হন। এ ঘটনায় কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, বিজিবি সহনশীলতার সঙ্গে দেশের সীমান্ত রক্ষায় সর্বদা প্রস্তুত, মিয়ানমারের সংঘাত অভ্যন্তরীণ, এর প্রভাবে যাতে বাংলাদেশে এসে না পড়ে, সে ব্যাপারে তাদের বলা হয়েছে। তিনি বলেন, ৫ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী এই দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আমাদের ধৈর্য ধারণের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি।