মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সিমিন হোসেন (রিমি) বলেছেন, নারীদের অর্থনৈতিকভাবে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে অনেক বেশি সাবলম্বী হতে হবে। মেয়েরা যেন মানুষ পরিচয়ে বাঁচে সেটা সবার আগে নিশ্চিত করতে হবে। নারী- পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠার জায়গায় কাজ করতে হবে। জয়িতারা সংগ্রামী নারীদের জীবনে জয়ী হওয়ার অনুপ্রেরণা। আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জয়িতাদের স্বপ্নদ্রষ্টা।
আজ (৩০ জানুয়ারি) ঢাকায় শিশু একাডেমি মিলনায়তনে ঢাকা বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, নারীদের প্রতি মানুষিকতা পরিবর্তন করতে না পারলে কোন উন্নয়ন সম্ভব নয়। গণপরিবহন নারী বান্ধব করতে হবে। নারীদের বিষণ্ণতা থেকে দূর করতে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে কাজ করতে হবে।
ঢাকা বিভাগীয় পর্যায়ে নির্বাচিত পাঁচজন শ্রেষ্ঠ জয়িতারা হচ্ছে-অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী নাজমা মাসুদ, শিক্ষা ও চাকুরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী বিপাশা হোসাইন, সফল জননী নারী জোহরা আক্তার। নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যোমে জীবন শুরু করা নারী গীতা রানী রায় এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় মায়া রানী দেব ভৌমিক।
ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো: সাবিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক এবং মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কেয়া খান। আরো উপস্থিত শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম, অতিরিক্ত সচিব মো: মুহিবুজ্জামান, ঢাকা বিভাগের অতিরিক্ত ডি আইজি মারুফ হোসেন সরদার, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মমিনুর রহমান এবং ঢাকা জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় সচিব নাজমা মোবারেক বলেন, জয়িতা অদম্য প্রত্যয়ের নাম জয়িতা। সকল নারীই একজন জয়িতা। নারী উন্নয়নের ফলে প্রতিবছর জেন্ডার গ্যাপ সমতায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অনুভূতি ব্যক্ত করেন শিক্ষা ও চাকুরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী বিপাশা হোসাইন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ।