বরগুনার তালতলীর একটি ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশনের সময় নবজাতকের পিঠ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত চিকিৎসক রুনা রহমান বলেন, আপনি আমার সুবিধা দেখবেন, আমি আপনার সুবিধা দেখবো। আমিতো বাচ্চা মেরে ফেলিনায়, মেরে ফেলেছি? বলেন? এইটুকু কাটলে কি মানুষ মারা যায়?
এ ঘটনার প্রতিবাদ জানালে উল্টো ওই চিকিৎসকের তোপের মুখে পড়েন শিশুটির স্বজনরা। বাঁধা দেয়া হয় সংবাদ সংগ্রহে। শনিবার রাতে তালতলীর দোয়েল ক্লিনিক এণ্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।
শিশুটির স্বজনরা জানান, প্রসব বেদনা উঠলে শনিবার দুপুরে তালতলী উপজেলার বড় বগী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের তালতলী বাজারের বাসিন্দা মোহাম্মদ সোহাগের স্ত্রী লিপী আক্তারকে নিয়ে যাওয়া হয় তালতলীর দোয়েল ক্লিনিক এণ্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। পরে রাতে লিপী আক্তারের সিজারিয়ান অপারেশন করান এ ক্লিনিকের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ রুনা রহমান। অপারেশনের এক পর্যায়ে নবজাতকের কান্নার শব্দ শুনলেও বের করা হচ্ছিল না অপারেশন থিয়েটার থেকে। পরে দীর্ঘ সময় পর নবজাতককে স্বজনদের কাছে দেয়া হলে তখন নবজাতকের পিঠ কাটা দেখতে পান স্বজনরা। কাটা স্থান থেকে তখনও বের হচ্ছিল রক্ত। তবে অভিযোগ অস্বীকার না করলেও সিজারিয়ান অপারেশনের সময় শিশুর পিঠ কাটার পক্ষে নানা যুক্তি দেন চিকিৎসক রুনা রহমান।
শিশুটির বাবা মোহাম্মদ সোহাগ জানান, সিজারিয়ান অপারেশনের পর অপারেশন থিয়েটারে নবজাতকের কান্নার শব্দ শুনতে পাই আমরা। এর প্রায় এক ঘন্টা পর শিশুটিকে আমাদের কাছে দেয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর আমার স্ত্রী লিপীকে অপারেশন থিয়েটার থেকে বের করা হয়। তখন তিনি সিজারিয়ান অপারেশনের সময় নবজাতকের পিঠ কেটে ফেলার কথা আমাদের জানান। তারপর আমরা যাচাই করে এর সত্যতা পাই। তখনও কাটা স্থান থেকে রক্ত পড়ছিল আমার সন্তানের। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানালে চিকিৎসক রুনা রহমান আমাদের ওপর চড়াও হন।
এ বিষয়ে বরগুনার তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, এ ঘটনায় আমরা এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। ভুক্তভোগী নবজাতকের পরিবার থেকে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।