রাশিয়ার সামরিক বিমান বিধ্বস্তে নিহত ইউক্রেনের ৭৭ সেনার মরদেহ ফেরত দিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার কয়েকদিন পর শুক্রবার তাদের মরদেহগুলো ফেরত দেওয়া হয়েছে। এদিকে মস্কোর এক শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেছেন,পশ্চিমারা এখন ইউক্রেন নিয়ে ক্লান্ত। তারা এখন এ নিয়ে ভীতি ছড়াচ্ছে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, সামরিক বিমানের ব্ল্যাক বক্সগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য মস্কোর একটি বিশেষ পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। এদিকে, রুশ সামরিক বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার সত্যতা পরিষ্কারভাবে সামনে আনার আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তার অভিযোগ, রাশিয়া ‘ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দিদের জীবন নিয়ে খেলছে।’
এসভিআর প্রধানের মতে- “যারা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির গ্যাং-কে সরলভাবে বিশাল আর্থিক সহায়তা চালিয়ে যেতে চান তাদের সংখ্যা এখন কম, এবং কেউ এটা বুঝতে পারে না- কেন পশ্চিমা দেশগুলোর লোকজনকে ইউক্রেন ইস্যুতে কষ্ট পেতে হবে।” তিনি বলেন, রাশিয়ার জ্বালানি আমদানিতে পশ্চিমা জোটের নিষেধাজ্ঞার কারণে গত দুই বছরে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর শিল্প-কারখানা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সামপ্রতিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ব্রিটেনের লাখ লাখ বাসিন্দা বিদ্যুতের বাড়তি বিলের সাথে নিজেদেরকে মানিয়ে নেয়ার জন্য লড়াই করছে।
এদিকে রাশিয়ার ফরেন ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস বা এসভিআর-এর প্রধান সের্গেই নারিশকিন বলেছেন, ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর জনগণের মোহভঙ্গ ঘটেছে; তারা এখন এ নিয়ে ক্লান্ত। নারিশকিন বলেন, পশ্চিমা সরকারগুলো এখন ন্যাটোর ওপর “রাশিয়ান আক্রমণের” ভয়ঙ্কর হুমকিকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে তুলে ধরে জনসমর্থন জোগাড় করার চেষ্টা করছে। রুশ বার্তা সংস্থা স্পুটনিককে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, জনমত জরিপে দেখা গেছে- এই সব দেশের জনগণ ইউক্রেন সংকট নিয়ে নিতান্তই ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। এখন খুব কম সংখ্যক লোকই মনে করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেন বিজয়ী হতে পারবে।