দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের ভোট বর্জনের নিদারুণ প্রতিশোধ নিতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির নামে লাল ঘোড়া দাবড়াচ্ছে ফ্যাসিবাদ সরকার। জোটের নেতারা বলেছেন, সরকার অবৈধভাবে নির্বাচন করে বাংলার মানুষকে ভাতে ও লাঠিতে মারার ষড়যন্ত্র করছে। আওয়ামী লীগ দিল্লির দাসত্ব কায়েম করার জন্য বাংলাদেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানাতে চায়। তবে জনগণ এই সরকারকে প্রত্যাখান করেছে।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে সরকারের পদত্যাগ, দ্বাদশ নির্বাচন বাতিল, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে কালো পতাকা মিছিল শেষে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা এসব কথা বলেন। বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ এলডিপির তমিজউদদীন টিটু, ফরিদ উদ্দিন, জমিয়তে ইলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মুফতি মাওলানা জাকির হোসেন, মাওলানা আতাউর রহমান, মাওলানা এম এ কাশেম ইসলামাবাদী, বাংলাদেশ জাতীয় দলের বেলায়েত হোসেন শামীম, মনসুর হোসেন, জাগপার আনোয়ার হোসেন, মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ লেবার পার্টি মো. শরিফুল ইসলাম, অ্যাড. জাকির হোসেন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মুহাম্মদ আবু হানিফ, মো. ইমরান, ইসলামী ঐক্যজোটের বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আমিন, মোহাম্মদ ইলিয়াস রেজাসহ অন্যান্যরা।
১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, শেখ হাসিনা সরকার এখন দেশের জন্য বিষফোঁড়ায় পরিণত হয়েছে। একদলীয় সরকারের অধীনে ‘ডামি’ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশে ভয়াবহ হাহাকার চলছে। জনগণ এই সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। ১২ দলীয় জোট এই ফ্যাসিবাদ হাসিনার সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাবে। ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান বলেন, ভারত বাংলাদেশের অবৈধ প্রধানমন্ত্রীকে নতুন বছরে শুভেচ্ছা পুরস্কার হিসেবে বাংলার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবির লাশ পাঠিয়েছে।
তিনি বলেন, আজ আমাদের আফসোস হয় এই ফ্যাসিস্ট সরকার দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির নামে দেশের জনগণকে মারতে চায়। ঘরে ঘরে ক্ষুধার আর্তনাদ বাতাসে ভেসে আসছে। দেশ ও দেশের জনগণকে বাঁচাতে শেখ হাসিনার পতন এখন অনিবার্য।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম বলেন, এই প্রহসনের নির্বাচনে দেশের ভাবমূর্তি বিশ্বের কাছে নষ্ট হয়েছে। আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের রাজনীতিকে অন্ধকারে নিক্ষেপ করেছে। দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এখন পুরোপুরি ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হলো। অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ করা উচিত। উল্লেখ্য, মিছিলটি বিজয়নগর থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এসে শেষ হয়।