ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শৃঙ্খলা রক্ষায় ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সুপারিশে ছয় শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নবীন ছাত্রকে র্যাগিং ও মেডিকেল সেন্টারে ভাঙচুরের ঘটনায় চূড়ান্ত শাস্তি হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান।
তিনি বলেন, ‘গত মঙ্গলবার কর্তৃপক্ষ শৃঙ্খলা রক্ষায় তাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরআগে ২০২৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর সর্বশেষ ছাত্রশৃঙ্খলা সভা থেকে ছাত্রশৃঙ্খলা কমিটি একই সুপারিশ করেছিল। ওই বিধি মোতাবেক তাদের ১ জনকে স্থায়ী ও ৫জনকে সাময়িক বহিষ্কার হয়েছে। ‘
রেজিস্ট্রার সূত্রে জানা যায়, ‘চূড়ান্ত বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে একদিকে আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রেজওয়ান সিদ্দিকী কাব্যকে চিকিৎসা কেন্দ্র ভাংচুরের অভিযোগে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। অন্যদিকে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীকে র্যাগিং-এর দায়ে বিভাগটির ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের পাঁচ শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।’ সাময়িক বহিষ্কৃতরা হলেন – হিশাম নাজির শুভ, মিজানুর রহমান ইমন, শাহরিয়ার হাসান, শেখ সালা উদ্দিন সাকিব ও সাদমান সাকিব আকিব।
জানা যায়, ২০২৩ সালের ৯ সেপ্টেম্বর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের তাহমিন ওসমান নামে নবীন শিক্ষার্থী লিখিতভাবে র্যাগিংয়ের অভিযোগ করেন তারই বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ৫ ছাত্রের বিরুদ্ধে। পরদিন ওই অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে কর্তৃপক্ষ। তখন অভিযোগে প্রমাণ পাওয়ায় ১৯ ডিসেম্বরের ছাত্রশৃঙ্খলা সভায় অভিযুক্তদের এ সিদ্ধান্তের সুপারিশ করা হয়।
অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্র ভাংচুরের পর গত সালের ১০ জুলাই মেডিকেল কর্তৃপক্ষের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ১৫ জুলাই রেজওয়ান সিদ্দিকী কাব্যকে সাময়িক বহিষ্কার করে তদন্ত কমিটি করে কর্তৃপক্ষ। পরে তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। এরপর কেনো তাকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না এই মর্মে সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হয়েছিল তবে তখন উপস্থিত না হওয়ায় তাকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়।