বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী আজ। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের উদ্যোক্তা ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালে বগুড়ার গাবতলীর বাগবাড়ীর এক বনেদি মুসলিম পরিবারে জন্ম নেন। শিক্ষাজীবন শেষে ১৯৫৩ সালে তিনি যোগ দেন সে সময়ের পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে। ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ বাঙালি জাতির সংকট মুহূর্তে চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে তার কণ্ঠে ভেসে আসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা।
মুক্তিযুদ্ধে অন্যতম সেক্টর কমান্ডার হিসেবে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন জিয়াউর রহমান। দায়িত্ব পালন করেন মুক্তিযুদ্ধের একটি স্বতন্ত্র সেক্টরের। তার নামে গড়ে ওঠা ‘জেড ফোর্স’ রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে দুঃসাহসিকতায়। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর ‘সিপাহি জনতার বিপ্লবের’ মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে অধিষ্ঠিত হন জিয়াউর রহমান। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সেনাবাহিনীর একটি অংশের অভ্যুত্থানে নিহত হন জিয়াউর রহমান।
জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দুই দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিএনপি। কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল বেলা ২টায় রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আজ শুক্রবার ভোরে সারা দেশে দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এছাড়া বেলা ১১টায় শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। এতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।
দিবসটি উপলক্ষ্যে পোস্টার, পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং দলের অঙ্গ, সহযোগী ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন আলোচনা সভা ও শীতবস্ত্র বিতরণ করছে বিএনপি। বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে আজ বাদ আসর দোয়া মাহফিলের আয়োজন করবে।
জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষ্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গতকাল এক বাণীতে বলেন, ‘আমি এই মহান রাষ্ট্রনায়কের জন্মবার্ষিকীতে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা; গণতন্ত্র, মানুষের ভোটাধিকার, ন্যায়বিচার ফিরিয়ে আনা এবং মানুষের হারানো মৌলিক ও মানবাধিকার পুনরুদ্ধার করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাই।’