দেশের নাটক, ওয়েব সিরিজ, সিনেমার পাশাপাশি তার নিয়মিতই দেখা মিলছে ওপার বাংলার ওয়েব সিরিজ-সিনেমায়। সেই ধারাবাহিকতায় আগামী বাংলায় একইসঙ্গে মুক্তি পাচ্ছে তার নতুন সিনেমা ‘হুব্বা’। এরইমধ্যে সিনেমাটির লুক এবং ট্রেলার দারুণ সাড়া ফেলেছে দুই বাংলার দর্শকদের মাঝে। ট্রেলারে বেশ নৃশংস চরিত্রে দেখা গেছে মোশাররফ করিমকে।
পশ্চিমবঙ্গের কুখ্যাত গ্যাংস্টার হুব্বা শ্যামলের জীবনের ঘটনা নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘হুব্বা’। ‘হুগলির দাউদ ইব্রাহিম’ নামে পরিচিত ছিলেন হুব্বা শ্যামল। খুন, মারামারি, মাদক চোরাচালানসহ বিভিন্ন অপরাধে তার দাপট ছিল। অসংখ্য মামলার এই আসামি এক পর্যায়ে নির্বাচনেও অংশ নেন! বৈচিত্র্যে ভরা সেই চরিত্রেই অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম। সিনেমাটিতে মোশাররফ ছাড়া আরো অভিনয় করেছেন ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত, পৌলমী বসু, শ্রাবণী দাস, সৌমিক হালদারসহ অনেকে।
নতুন সিনেমা প্রসঙ্গে মোশাররফ করিম বলেন, এই চরিত্রে ঢোকার ক্ষেত্রে স্ট্রাগল ছিল না। যুদ্ধ করে তো চরিত্রকে জয় করা যায় না। এটাকে স্ট্রাগল না বলে ভালোবাসাই বলবো। আসলে আমি কখনো স্ট্রাগল করি না। এই শব্দটিতে বিশ্বাসও করি না।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমার পরিবার কখনো আমাকে বাজারেও পাঠাতে পারেনি। কখনো কোনো আত্মীয়স্বজনকে দাওয়াত দিতে যেতে হলে আমি পালিয়ে যেতাম। কারণ ওখানে যাওয়াটা আমার কাছে বৃথা পরিশ্রম মনে হতো। আমি করতাম না এসব। এজন্য বাড়ির সবাই আমাকে কামচোরা বলতো। বাকি সবাই করে, আমি করি না। অনেকেই আমাকে বলেন, আপনার ক্যারিয়ারে কোনো স্ট্রাগল আছে কি-না? আমি বলি, নো স্ট্রাগল। পরিশ্রম করার লোকই আমি না। তবে হ্যাঁ, থিয়েটার করার জন্য আমি যদি ১০ মাইল হেঁটে যাই, এই হেঁটে যেতে যদি আমার আনন্দ লাগে তাহলে সেটাকে আমি স্ট্রাগল কেন বলবো?’
তিনি আরও বলেন, ‘এই কাজটি অসাধারণ হয়েছে—এমন কথা ক্যারিয়ারের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কখনো বলিনি। বলতে পছন্দও করি না। তবে হুব্বা ডাবিংয়ের সময় যতটুকু দেখেছি তাতে আমার মনে হয়েছে দারুণ কাজ হয়েছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, আমার পরিচালক ও প্রযোজক দারুণ উচ্ছ্বসিত। হুব্বা সব শ্রেণি-পেশার দর্শকদের মুগ্ধ করবে, এই বিশ্বাস আমার রয়েছে।’